কথায় আছে মানুষ দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা বোঝে না। আর যে মুহূর্তে দাঁতের ব্যথার পাল্লায় পড়তে হয়, সে মুহূর্তে টনক নড়ে। তাই প্রতি দিন দু’বার ব্রাশ করলে এই ধরনের সমস্যা এড়ানো যায় এ কথা সকলের জানা। কিন্তু তবুও নানা সমস্যার কারণে দাঁত, মাড়ি ইত্যাদি নিয়ে সমস্যা লেগেই থাকে।
কারও কারও ক্ষেত্রে দাঁত একটু বেশিই সমস্যাপ্রবণ হয়। আবার লিভারের সমস্যা বা ফুসফুসের সমস্যায় মুখে দুর্গন্ধও নিয়েও ভুগতে হয় অনেককে। অনেক সময়ে নিয়মিত ব্রাশ করেও এই দুর্গন্ধ থেকে রেহাই পাওয়া যায় না। ফলে জনসমক্ষে অসুবিধায় পড়তে হয়। আর এই সমস্যা এড়ানোর জন্যই অনেকে মাউথওয়াশ বা মাউথ ফ্রেশনার ব্যবহার করেন। কিন্তু সাময়িক দুর্গন্ধ দূর হলেও মাউথওয়াশ বড় বিপদ ডেকে আনে বলে দাবি মার্কিন বিজ্ঞানীদের। ‘আমেরিকান ডেন্টাল অ্যাসোসিয়েশন’-এর বিজ্ঞানীরা বলছেন, মাউথওয়াশ ব্যবহার করলে ডায়াবিটিসের সম্ভাবনা কয়েক গুণ বেড়ে যায়।
কিন্তু কেন এমন হয়? বিজ্ঞানীদের ব্যাখ্যা, মাউথওয়াশে যে উপাদানগুলি থাকে অর্থাত্ জিঙ্ক গ্লুকোনেট, ট্রাইক্লোসান, থায়মল, সেটাইলপ্লিরি়ডিনিয়াম ক্লোরাইড, ইত্যাদি শরীরে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলে। এরা ডায়াবিটিস হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। আর ডায়াবিটিসের হাত ধরেই কিডনির সমস্যা, চোখের সমস্যা ও দাঁতেও ক্ষয় ধরতে থাকে। এই রাসায়নিকগুলি দাঁতেরও নানা সমস্যা ডেকে আনে। তাই চটজলদি মাউথওয়াশে মুখ থেকে সুবাস ছড়ালেও, তা নিয়মিত ব্যবহার করলে পরবর্তী কালে বড় সমস্যার হাতে পড়তে হতে পারে। তা হলে উপায়?