ওয়ার্কআউটের সময় পলিয়েস্টার পরলেও একটানা বেশিক্ষণ পলিয়েস্টার পরে থাকা উচিত নয়।
ঘোর বর্ষা চলছে। এই সময় ভাল পোশাকগুলো কেউ নষ্ট করতে চান না। সুতি বা সিল্কের মতো ফ্রাব্রিকগুলোর বদলে এই সময় কাজে আসে রেয়ন, নাইলনের মতো সিন্থেটিক মেটিরিয়ালের পোশাকগুলো। যা জল শুষে নিতে পারে তাড়াতাড়ি। তাই মেঘলা আকাশের ভ্যাপসা গরমে যেমন ঘেমে কষ্ট হয় না, তেমনই বৃষ্টিতে ভিজলেও তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়। তবে এই সব ফ্যাব্রিকগুলো সুবিধাজনক হলেও অনেক সময়ই তা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক। জেনে নিন কোন ফ্র্যাব্রিকগুলো যত কম ব্যবহার করা যায় ততই ভাল।
রেয়ন
রিসাইকেল্ড উল পাল্প থেকে তৈরি হয় রেয়ন। এই মেটিরিয়াল যাতে বেশি দিন চলে ও বার বার কাচলেও নষ্ট না হয় তাই কার্বন ডিসালফাইড, সালফিউরিক অ্যাসিড, ক্লোরিন ও কস্টিক সোডার মতো পদার্থ ব্যবহার করেন প্রস্তুতকারকরা। যেই সব উপাদান শরীরের সংস্পর্শে এলে অনিদ্রা, গা গোলানো, মাথা যন্ত্রণা, বমির মতো সমস্যা হতে পারে।
আরও পড়ুন: বৃষ্টিতে ভিজে নাজেহাল না হতে চাইলে বেছে নিন এই ৫ স্মার্ট ফ্যাব্রিক
পলিয়েস্টার
জামা-কাপড় কেনার সময় লেবেল ভাল করে পড়ে নিন। দেখবেন বেশির ভাগ পোশাকেই পলিয়েস্টার থাকে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন পরিয়েস্টার সবচেয়ে ক্ষতিকারক ফ্যাব্রিক। ডাইহাইড্রিক অ্যালকোহল ও টেরেপথ্যালিত অ্যাসিডের সিন্থেটিক পলিমার থেকে পলিয়েস্টার তৈরি হয়। ইঁদুরের উপর পরীক্ষায় গবেষকরা দেখেছেন পলিয়েস্টার ত্বকের সংস্পর্শে এলে টিউমর, ফুসফুসের ক্যানসার ছাড়াও আরও বিভিন্ন জায়গার ক্যানসার হতে পারে।
যদিও খেলা বা ওয়ার্কআউট সেশনের জন্য সবচেয়ে ব্যবহৃত মেটিরিয়াল পলিয়েস্টার। কারণ সুতির পোশাক ঘাম শুষে নিতে পারে না। তাই মাথায় রাখুন ওয়ার্কআউটের সময় পলিয়েস্টার পরলেও একটানা বেশিক্ষণ পলিয়েস্টার পরে থাকা উচিত নয়।
অ্যাক্রাইলিক
এই ফ্যাব্রিকে থাকে পলিক্রিলোনাইট্রিলস। বিভিন্ন ধরনের ক্যানসার হতে পারে এর থেকে। বিশেষ করে অ্যাক্রাইলিক ব্যবহার করলে ব্রেস্ট ক্যানসারের ঝুঁকি থাকে মহিলাদের। ২০১০ সালের একটি গবেষণা বলছে যেই মহিলারা খুব বেশি অ্যাক্রাইলিকের মতো সিন্থেটিক ফাইবার ব্যবহার করেন তাদের পোমেনোপজাল ব্রেস্ট ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। অ্যাক্রাইলিক ফ্র্যাব্রিক তৈরির জন্য যেহেতু অ্যাক্রাইলিক অ্যাসিড, মিথাক্রিলিক অ্যাসিড বা অ্যাক্রিলোনাইট্রাইলের মতো রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়, তাই এই ফ্যাব্রিক শুধু ত্বকের জন্য নয়, পরিবেশের জন্যও ক্ষতিকারক।
অন্যান্য
খতিয়ে দেখলে দেখা যাবে যে ফ্র্যাব্রিকগুলো আমরা রোজকার জীবনে ব্যবহার করে থাকি তার অধিকাংশই টক্সিক। এই তালিকা নাইলনে শেষ হয় না। যে কোনও রিঙ্কল-ফ্রি, স্টেন-রেজিজট্যান্ট ফ্র্যাব্রিক যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। এই মেটিরিয়ালগুলো টেফলন বা পিএফসি(পারফ্লুয়োরিনেটেড রাসায়নিক) দিয়ে রিঙ্কল-ফ্রি তৈরি করা হয়। যা শরীরের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকারক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy