কোভিড হবে কি না, হলে কী হবে? চাকরি থাকবে কিনা, ব্যবসা চলবে কি না, প্রিয় জন সুরক্ষিত কি না, ইত্যাদি চিন্তায় উড়ে গেছে রাতের ঘুম৷ চিন্তা করে সমাধান মিলবে না জানার পরও উদ্বেগ কমছে না৷ চিকিৎসকরা যোগাভ্যাস, মেডিটেশন করতে বলছেন৷ উদ্বেগ নিয়ে বসে থাকলে মাস ছয়েকের মধ্যে জিএডি বা জেনারেলাইজ়ড অ্যাংজাইটি ডিজঅর্ডার হতে পারে এমনও বলছেন অনেকেই, তখন তাকে সারাতে অনেক কাঠ খড় পোড়াতে হবে, কিন্তু উদ্বেগ থেকে যাচ্ছে আগের মতোই। বরং ভয় বাড়ছে, আবার জিএডি হবে না তো!
উদ্বেগের বিপদ এটাই, মানুষ দিনে দিনে এত নেতিবাচক হয়ে পড়েন যে বিশ্বাস করতে শুরু করেন, তাঁর যা হবে, সব খারাপই হবে৷ ‘ভাল’-র মধ্যেও ‘খারাপ’ খুঁজে বের করেন৷ চেনা ছকের বাইরে কিছু এলে সামলাতে পারেন না৷ শান্তিতে থাকতে পারেন না৷ ভুল সিদ্ধান্ত নেন৷ খিটখিট করেন, খুঁতখুঁত করেন৷ পরের পর্যায়ে গ্রাস করে চরম অস্থিরতা, অমনোযোগ, দুঃখ, আতঙ্ক, অনিদ্রা৷ ফলে এক সময় আর স্বাভাবিক ভাবে মস্তিষ্ক কাজ করে না৷ এ সময় কিছু শারীরিক উপসর্গও হয়৷ যেমন, গা-বমি, মাথা ব্যথা, হাত-পা কাঁপা, বুক ধড়ফড়, বুকে যন্ত্রণা৷ জীবন বিপর্যস্ত হয়ে যায়৷ তাঁর সঙ্গে পরিবারের অন্যদেরও৷ কাজেই নিজের বা অন্য কারও মধ্যে বাড়াবাড়ি উদ্বেগ দেখলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিন৷” এমনই জানান মনোচিকিৎসক শিলাদিত্য মুখোপাধ্যায়৷
আরও পড়ুন: করোনা আতঙ্কে অনিয়মিত ঋতুস্রাব, খিটখিটে মেজাজ? কী করবেন ?