Advertisement
E-Paper

সন্তানপ্রসবের পর সেপটিক শকে আক্রান্ত মহিলা, বাদ দিতে হল হাত-পা! কেন এমন পরিণতি?

অস্ত্রোপচারের পর সেপসিক শকে আক্রান্ত হন আমেরিকাবাসী ক্রিস্টিনা পাচেকো। কী হয়েছিল তাঁর, জানালেন নিজেই।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৪:০১
Image of a baby and mother

২৯ বছর বয়সি ক্রিস্টিনার অক্টোবর মাসে দ্বিতীয় সন্তানের জন্মের সময়ে তাঁর অস্ত্রোপচারের কারণে সংক্রমণ হয়। ছবি: শাটারস্টক।

অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তানপ্রসবের পর হাত-পা দুই-ই বাদ দিতে হল এক মহিলার। আমেরিকাবাসী ওই মহিলার প্রসবের পর সেপটিক শকে আক্রান্ত হন, আর সেই কারণে তাঁর হাত-পা কেটে বাদ দিতে হয়। ২৯ বছর বয়সি ক্রিস্টিনা পাচেকো জানান, অক্টোবর মাসে দ্বিতীয় সন্তানের জন্মের সময়ে তাঁর অস্ত্রোপচারের কারণে সংক্রমণ হয়। আর তার জেরেই শরীরের অঙ্গগুলি কেটে বাদ দিতে হয়।

ক্রিস্টিনা সন্তানপ্রসবের পর টেক্সাসের হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে আসেন। বাড়ি ফিরতেই তাঁর জ্বর আসতে শুরু করে। শ্বাসকষ্ট আর বমি শুরু হয়। প্রথমে মহিলার মনে হয়েছিল সিজ়ারিয়ান পদ্ধতিতে প্রসবের জন্যই তাঁর এমনটা হচ্ছে। কিন্তু অস্বস্তি বাড়তে থাকায় তিনি চিকিৎসকের কাছে যান। তখন জানা যায়, তিনি সেপটিক শকে আক্রান্ত। অস্ত্রোপচারের পর সংক্রমণ খুব বেড়ে গেলে সেপটিক শকে আক্রান্ত হন রোগী। ক্রিস্টিনা বলেন, ‘‘মনে আছে আমি কিছুতেই শ্বাস নিতে পারছিলাম না, কিছুই দেখতে পারছিলাম না, শুধু মাথা ঘুরছিল। কানে শুধু আসছিল, বরের মিনমিনে আওয়াজ, ‘ফিরে এসো। আমি একা বাচ্চাদের সামলাতে পারব না। আমার তোমাকে প্রয়োজন।’ আমার শুধু ওইটুকুই মনে আছে।’’

baby and mother image

সন্তান জন্মের চার মাস পর ক্রিস্টিনা বাড়ি ফেরে। ছবি: সংগৃহীত।

দু’সপ্তাহ ক্রিস্টিনাকে ইনটেনসিভ কেয়ারে রাখা হয়। তাঁকে অক্সিজ়েন সাপোর্টে রাখা হয়। তবে তাঁর হাত-পায়ে রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়, আর সে কারণেই হাত-পা কেটে বাদ দিতে হয় ক্রিস্টিনার। অঙ্গচ্ছেদের পর সেই অংশগুলি কালচে দাগ হয়ে যায়। দু’মাস ধরে চলে তাঁর চিকিৎসা। সন্তান জন্মের চার মাস পর ক্রিস্টিনা বাড়ি ফেরে। স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার জন্য মানসিক ও শারীরিক ভাবে লড়াই করে চলেছেন তিনি।

Pregnancy Pregnancy Care
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy