মদ্যপান করে ঘুমালে বাড়ে হৃদরোগের আশঙ্কা।
পার্টিতে একটু বেশি মাত্রায় মদ্যপান করে বাড়ি ফিরে ঘুমিয়ে পড়েন অনেকে। কিন্তু অতিরিক্ত মদ্যপান করে ঘুমালে ভয়ঙ্কর বিপদ হতে পারে। এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
দেখা গিয়েছে, অনেকেরই মদ্যপানের পর তাড়াতাড়ি ঘুম এসে যায়। কিন্তু সেই ঘুম কি আদৌ স্বাস্থ্যকর? তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
কেন স্বাস্থ্যকর নয়? ঘুম নিয়ে গবেষণা বলছে, মদ্যপান করে ঘুমালে প্রথম দিকে ভাল ঘুম হয়। কিন্তু সময় যত এগোতে থাকে, ঘুম তত পাতলা হয়ে আসে। তবে শুধু এটাই নয়। আরও নানা সমস্যা হতে পারে মদের নেশায় ঘুমিয়ে পড়লে। দেখে নেওয়া যাক।
ক্লান্তি বাড়ে: মদ্যপান করে ঘুমালে ক্লান্তি কমে না। উল্টে বেড়ে যায়। এমনই বলছে গবেষণা। তাতে বাড়ে হৃদযন্ত্রের গতি। পাল্লা দিয়ে বাড়ে উদ্বেগ। ফলে জেগে থাকলে শরীর যতটা ক্লান্ত হয়, এই অবস্থায় শুয়ে থাকলে ক্লান্ত হয় তার চেয়ে বেশি।
মস্তিষ্কের বিশ্রাম হয় না: ঘুমের একটা পর্যায়কে বলে ‘র্যাপিড আই মুভমেন্ট’ বা আরইএম। এই সময়ে চোখের পাতার দ্রুত নড়াচড়া হয়। আর এই পর্যায়েই মস্তিষ্ক নিজের সারা দিনের ক্লান্তি কাটায়। মনের চাপ হালকা করে। সাধারণ ঘুমের ক্ষেত্রে মস্তিষ্ক ৭ থেকে ৮ বার আরইএম-এর মধ্যে দিয়ে যায়। কিন্তু মদের নেশায় ঘুমালে সেটা কমে দাঁড়ায় ১ থেকে ২ বার। ফলে মস্তিষ্কের ক্লান্তি কাটে না।
নাক ডাকা বাড়ে: এই অবস্থায় গলার পেশির উপর চাপ বাড়ে। তাতে অনেকের ক্ষেত্রেই নাক ডাকার পরিমাণ তীব্র ভাবে বেড়ে যায়।
হৃদযন্ত্রে চাপ: অনেকেই মনে করেন, মদ্যপান করে ঘুমালে দারুণ ঘুম হয়। কথাটা সত্যি নয়। বরং এই অবস্থায় ঘুম খুব পাতলা হয়ে যায়। তাতে হৃদযন্ত্রে চাপ পড়ে। এমনকি ঘুমের মধ্যে হৃদরোগের আশঙ্কাও বেড়ে যায়।
জল কমে যায়: মদের কারণে এমনিতেই শরীরে জলের পরিমাণ কমে যায়। তার মধ্যে ঘুমিয়ে পড়লে ঘাম হতে থাকে। শরীরের জমা জল বেরিয়ে গিয়ে, শরীর শুকিয়ে যায়। এর ফলে পরের দিন মাথা ধরা সহজে কাটতে চায় না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy