বিরাট কোহলির মতো ক্রিকেট খেলার স্বপ্ন দেখে তরুণ প্রজন্ম। ছবি: সংগৃহীত।
নিজে স্বপ্ন দেখতেন খেলোয়াড় হওয়ার। কিন্তু শেষমেশ তা পূরণ হয়নি। তাই সন্তানকে প্রথম থেকেই খেলাধুলোর মধ্যে রাখার ইচ্ছে। এখনকার অনেক স্কুলেই ‘এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিস’-এর মধ্যে খেলাধুলো গুরুত্ব দেওয়া হয়। কেউ বেছে নেন ফুটবল, কেউ ক্রিকেট, কেউ আবার দাবা। পাশাপাশি ব্যাডমিন্টন, টেবিল টেনিস, সাঁতারের মতো খেলাধুলো শেখার বিকল্পও রয়েছে। তবে প্রশিক্ষকেরা বলছেন, শরীর এবং মনের যত্ন নিতে যে কোনও খেলাই গুরুত্বপূর্ণ। তবে তার মধ্যেও ক্রিকেটকে একটু এগিয়ে রাখতে হয়। কারণ ক্রিকেট খেলার সঙ্গে শুধু শরীরচর্চা নয়, জড়িয়ে রয়েছে আরও নানা রকম শিক্ষা।
১) শারীরিক সক্রিয়তা
ক্রিকেট খেলতে গেলে দৌড়নো, ব্যাট করা, ফিল্ডিং করতে হয়। ক্রিকেট খেললে শরীরচর্চার অনেকটাই হয়ে যায়। ফুটবল ছাড়া অন্যান্য খেলায় এতটা শরীরচর্চা হয়তো সম্ভব নয়।
২) একতা
একজোট না হলে ক্রিকেটের মতো একটি খেলায় অংশ নেওয়া যায় না। ক্রিকেট আসলে খেলার ছলে দলের ১১ জন সদস্যকে একজোট হতে শেখায়। দলবদ্ধ হয়ে কাজ করার শিক্ষা যদি খেলার মাধ্যমে সন্তানকে দেওয়া যায়, সে ক্ষেত্রে জীবনে অনেক শিক্ষাই সহজ হয়ে যাবে।
৩) নিয়মানুবর্তিতা
শুধু স্কুলের পোশাক বা প্রার্থনার লাইনে দাঁড়ালেই কিন্তু নিয়মানুবর্তিতা শেখা যায় না। খোলা আকাশের নীচে খেলার মাঠেও তা শেখা যায়। খেলার নিয়ম, সময়, পছন্দ না হলেও আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়ার মধ্যে দিয়েও নিয়মানুবর্তিতা শেখা যায়।
৪) চিন্তাভাবনা
ক্রিকেট খেলতে গেলে বুদ্ধিতে শান দিতে হয়। একেবারে সাদামাঠা বুদ্ধি নিয়ে পুথিগত শিক্ষা নেওয়াই যায়। তবে সামনে প্রতিপক্ষের সঙ্গে পাল্লা দিতে গেলে একটু কৌশল জানা প্রয়োজন। ছোট থেকে ক্রিকেট খেলার মাধ্যমে এই কৌশল শিখে যেতে পারলে, পরবর্তীতেও তা কাজে লাগে।
৫) ধৈর্য
যে কোনও খেলাধুলোতেই ধৈর্য লাগে। উল্টো দিক থেকে আসা বল কী ভাবে ব্যাটে ঠেকালে তা চার, ছয় রান দিতে পারে তা বুঝতে গেলে ধৈর্য ধরে লক্ষ করতে হয়। এই ধৈর্য পরবর্তীকালে সব ক্ষেত্রেই কাজে লাগে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy