সাত দিন ধরে জঙ্গিপুর পুলিশ মর্গের পাঁচটি এসি মেশিনই খারাপ। ফলে বেওয়ারিশ মৃতদেহ নিয়ে আতান্তরে পড়েছেন জঙ্গিপুর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। দুটো বেওয়ারিশ মৃতদেহ প্রচণ্ড গরমে পচে গিয়ে এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। মর্গ সংলগ্ন ম্যাকেঞ্জি রোড দিয়ে যাতায়াত করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এই অবস্থার মধ্যেই সোমবার ৬টি মৃতদেহের ময়না-তদন্ত হয়েছে জঙ্গিপুর হাসপাতালের ওই পুলিশ মর্গে। দুর্গন্ধের মধ্যেই চিকিৎসক ও পুলিশ অফিসারদের নাকে রুমাল দিয়ে কাজ সারতে হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, নির্বাচনের কাজে ব্যস্ত প্রশাসনের এ নিয়ে কোনও মাথাব্যথা নেই। জঙ্গিপুরের কংগ্রেস কাউন্সিলার বিকাশ নন্দ বলেন, “লোকালয়ের মধ্যে মর্গ রেখে এলাকায় এভাবে পরিবেশ দূষণ করা বেআইনি। তার উপর এই গরমে ৭ দিন থেকে এসি মেশিন খারাপ। মর্গের মধ্যে মৃতদেহ জমে রয়েছে। চারিদিকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। শহরের নাগরিকেরা চাইছেন পরিবেশের স্বার্থে মর্গ শহরের বাইরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করুক প্রশাসন। এ ব্যাপারে রাজ্য পরিবেশ দূষণ দফতরের দ্বারস্থ হব আমরা।”
জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার শাশ্বত মণ্ডল বলেন, “২১ এপ্রিল থেকে পাঁচটি এসি মেশিনই খারাপ। ফলে মর্গের বেওয়ারিশ মৃতদেহগুলিতে পচন ধরে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। হাসপাতাল থেকে লিখিত ভাবে রাজ্য পূর্ত দফতরের বিদ্যুৎ বিভাগকে জানানো হয়েছে।”
মহকুমা হাসপাতালের পূর্ত দফতরের বিদ্যুৎ শাখার অবর সহকারী বাস্তুকার তপন পাল বলেন, “ লো-ভোল্টেজের জন্যই এই বিপর্যয়। এগুলি দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মালদহের একটি সংস্থাকে। তারা একদফা ঘুরেও গিয়েছে। কিন্তু সেগুলি সারানো যায়নি। মঙ্গলবার মেরামতি সংস্থার লোকজনকে আবার ডেকে পাঠানো হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy