পুজোর পর থেকে ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালে শুরু হতে চলেছে ডায়ালিসিস বিভাগ। এ বার ডায়ালিসিসের জন্য এই এলাকার মানুষকে আর অন্য কোনও হাসপাতালে ছুটতে হবে না। রেনাল ডায়ালিসিস ইউনিটে কিডনি-সংক্রান্ত সব রকম চিকিৎসার সুযোগ মিলবে বলে জানালেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার মধ্যে এই হাসপাতালটি ছাড়াও মোট ১৩টি ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতাল রয়েছে। কিন্তু কোনওটিতেই ডায়ালিসিস বিভাগ না থাকায় এই এলাকার মানুষকে সমস্যায় পড়তে হয়েছে বার বার। তা ছাড়া, এলাকায় সাপের কামড় দিনের পর দিন বেড়ে চলেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, অনেক সময় সাপের বিষে কিডনি আক্রান্ত হয়। বিশেষ করে চন্দ্রবোড়া সাপ কামড়ালে কিডনির উপর দ্রুত প্রভাব ফেলতে শুরু করে বলে জানা গিয়েছে। এখানে ডায়ালিসিস বিভাগ না থাকায় এখানকার মানুষকে সাপে কামড়ালে অন্য হাসপাতালে যেতে হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তথা হাসপাতাল সুপার আনোয়ার হোসেন বলেন, “সাপে কামড়ানোর পরে অনেক সময় দূর থেকে রোগীকে এখানে নিয়ে আসতে আসতে কিডনি অকেজো হতে শুরু করে। সে সময়ে সঙ্গে সঙ্গে ডায়ালিসিস শুরু না করলে রোগীর মৃত্যুর আশঙ্কা থাকে।” স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে শুরু করে জুলাই মাস পর্যন্ত মোট ২৭৩ জন রোগী সাপের কামড়ের চিকিৎসা করতে ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে ১০ জনকে ডায়ালিসিস করার জন্য গুরুতর অবস্থায় কলকাতায় স্থানান্তরিত করতে হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সরকারি এবং বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে (পিপিপি মোড) এই ডায়ালিসিস ইউনিটের কাজ চলছে। নির্মাণ-সংক্রান্ত এবং লেকট্রিক্যাল অয়্যারিংয়ের কাজও শেষ। বাকি রয়েছে কেবলমাত্র বাইরের খানিকটা রাস্তা তৈরির কাজ তা শেষ হতে আরও প্রায় মাসখানেক সময় লাগবে। তাই পুজোর পর পরই এই ইউনিট চালু করা যাবে বলে আশা করছে হাসপাতাল কতৃর্পক্ষ। বিপিএল তালিকাভুক্ত রোগীরা এই ইউনিটে একটি বড় অঙ্কের টাকা ছাড় পাবেন। বাকি রোগীদের জন্যও যাতে কম খরচে এই ইউনিটে চিকিৎসার সুযোগ মেলে তার জন্য চেষ্টা করছে কর্তৃপক্ষ। বেসরকারি নার্সিংহোমের তুলনায় হাসপাতালে ডায়ালিসিসে কম খরচ লাগবে। তবে তা রোগীর অবস্থার উপরেও নির্ভর করবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy