Advertisement
E-Paper

নির্দিষ্ট সময়ের পরেও চালু হয়নি উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র

২০১২ সালে শুরু হয়েছিল কাজ। সময়সীমা ছিল এক বছর। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের পরে আরও একটি বছর পেরোতে চললেও এখনও চালু হয়নি জগৎবল্লভপুর ব্লকের শঙ্করহাটি-২ পঞ্চায়েতের উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি। ফলে স্বাস্থ্য পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এলাকার বাসিন্দারা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০১৪ ০২:৫১
সময়সীমা পেরোলেও শেষ হয়নি নির্মাণ কাজ। ছবি: রমাপ্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায়।

সময়সীমা পেরোলেও শেষ হয়নি নির্মাণ কাজ। ছবি: রমাপ্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায়।

২০১২ সালে শুরু হয়েছিল কাজ। সময়সীমা ছিল এক বছর। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের পরে আরও একটি বছর পেরোতে চললেও এখনও চালু হয়নি জগৎবল্লভপুর ব্লকের শঙ্করহাটি-২ পঞ্চায়েতের উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি। ফলে স্বাস্থ্য পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এলাকার বাসিন্দারা। তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণেই উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নির্মাণের কাজ শেষ করা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। অভিযোগ অস্বীকার করে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি দ্রুত চালুর দাবিতে বিডিওকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এলাকার বাসিন্দা ও জগৎবল্লভপুরের তৃণমূল বিধায়ক কাশেম মোল্লা বলেন, “দ্রুত কাজ শেষ করে যাতে উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি চালু করা যায় তার চেষ্টা হচ্ছে।” বিডিও তাপস মোহান্তি বলেন, “বিষয়টি শুনেছি। খোঁজ নিয়ে দেখব।”

ব্লক প্রশাসন সূত্রের খবর, শঙ্করহাটি-২ পঞ্চায়েত এলাকায় দু’টি উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে। একটি নবাসন এলাকায়। সেটির নিজস্ব বাড়ি রয়েছে। অন্যটির ক্ষেত্রেই তৈরি হয়েছে সমস্যা। স্থানীয় বোসপাড়ার কাছে ওই উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বাড়ি তৈরির কাজ পুরোপুরি শেষ না হওয়ায় পঞ্চায়েত অফিসের মধ্যেই একটি ছোট জায়গায় রোগীদের পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। বাসিন্দাদের ক্ষোভ, নিজস্ব বাড়ি না থাকায় উপযুক্ত স্বাস্থ্য পরিষেবা পাচ্ছেন না তাঁরা। কারণ পঞ্চায়েত অফিসের এক কোণে সামান্য জায়গায় এক জন স্বাস্থ্যকর্মীর পক্ষে প্রতি দিনের রোগীর চাপ সামালানো সম্ভব নয়। উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি চালু হয়ে গেলে উপকৃত হবেন আশপাশের শ্যামপুর, কৃষ্ণনন্দনপুর, গুমাডাঙি, ধর্মডাঙা, পশ্চিমপাড়া, ধসা প্রভৃতি গ্রামের মানুষ।

শঙ্করহাটি ২ পঞ্চায়েতের প্রধান অনুপম ঘাঁটি বলেন, “বিষয়টি বিডিওকে লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে।” যদিও উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি চালু না হওয়ার জন্য তৃণমূলের নিজেদের গোলমালকেই দায়ী করেছেন বিরোধীরা। জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক কৌশিক মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “তৃণমূলের নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বের জন্য এলাকার উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে। আটকে যাচ্ছে স্বাস্থ্যের মতো জরুরি পরিষেবা। ফল ভুগছেন স্থানীয় মানুষ।” সিপিএমের ১৮ নম্বর জোনাল কমিটির সদস্য জাফর আহমেদ বলেন, “পঞ্চায়েতের নানা প্রকল্প নিয়েই দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এ ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি।”

বিরোধীদের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে তৃণমূল পরিচালিত জগৎবল্লভপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শেখ ইব্রাহিম (গোরা) বলেন, “ব্লক স্বাস্থ্য দফতরে কিছু রদবদল হওয়ার কারণে দেরি হচ্ছে। তবে শীঘ্রই ওই উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উদ্বোধন হবে।”

jagatballavpur health center
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy