Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত যুবক মৃত মেডিক্যালে

ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হল পশ্চিম মেদিনীপুরে। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে একদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মঙ্গলবার সকালে মৃত্যু হয় পাপু মাহাতো (১৮)-র। তাঁর বাড়ি শালবনির জগন্নাথপুরে। পাপুর দাদা শান্তনু মাহাতোও এ দিন জ্বর নিয়ে মেডিক্যালে ভর্তি হয়েছেন। তিনিও ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০২:১৮
Share: Save:

ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হল পশ্চিম মেদিনীপুরে। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে একদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মঙ্গলবার সকালে মৃত্যু হয় পাপু মাহাতো (১৮)-র। তাঁর বাড়ি শালবনির জগন্নাথপুরে। পাপুর দাদা শান্তনু মাহাতোও এ দিন জ্বর নিয়ে মেডিক্যালে ভর্তি হয়েছেন। তিনিও ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত।

পাপুর মৃত্যুর খবর পেয়ে এ দিন জগন্নাথপুরে গিয়েছিল মেডিক্যাল টিম। স্থানীয়দের রক্ত পরীক্ষা করা হয়। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের অবশ্য দাবি, উদ্বেগের কিছু নেই। নতুন করে ওই এলাকার কেউ ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হননি। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা বলেন, “ফ্যালসিপেরাম ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। ওই এলাকায় মেডিক্যাল টিমও গিয়েছে। রোগ যাতে না ছড়ায়, সেই জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ করা হচ্ছে।”

গত জুলাইয় ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে গোয়ালতোড়ে দু’জনের মৃত্যু হয়েছিল। এই নিয়ে চলতি বছরে জেলায় ফ্যালসিপেরামে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল ১৩ জনের। সংখ্যাটা অনান্য বছরের তুলনায় বেশ বেশি। গত চার বছরে চার জনের মৃত্যু হয়েছিল। স্থানীয় ও স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, জ্বর নিয়ে গত রবিবার রাতে শালবনি হাসপাতালে আসেন পাপু। প্রাথমিক পরীক্ষার পর তাঁকে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাতেই তাঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। শালবনির বিএমওএইচ স্বদেশরঞ্জন মাইতির কথায়, “ওঁর (পাপু) শারীরিক পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছিল না। সব দিক দেখেই ওঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যালে স্থানান্তর করা হয়।” এ দিন সকালে জ্বর নিয়ে শালবনি হাসপাতালে আসেন পাপুর দাদা শান্তনু। প্রাথমিক পরীক্ষার পর তাঁকেও মেদিনীপুরে পাঠানো হয়। বেশ কিছু দিন ধরেই শালবনির বিভিন্ন গ্রামে জ্বরের প্রকোপ দেখা দিচ্ছিল। অনেকে ওষুধ খাচ্ছিলেন। জ্বর সেরেও যাচ্ছিল। পাপুর অবশ্য জ্বর কোনও ভাবেই কমছিল না।

জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক সূত্রে খবর, আগে পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলপাহাড়ির মতো এলাকাতেই কেউ কেউ ফ্যালসিপেরাম ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হতেন। ক্রমে গোয়ালতোড়, ঘাটাল, খড়্গপুর- ২, মেদিনীপুর সদর, শালবনির মতো ব্লকেও এই রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। এখনও জেলার কিছু এলাকায় ডায়েরিয়ার প্রকোপ রয়েছে। বহু মানুষ সাধারণ জ্বর- সর্দি-কাশিতে ভুগছেন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলার সব ব্লকে ‘ফিভার ক্লিনিক’ খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র কিংবা গ্রামীণ হাসপাতালে এই ‘ফিভার ক্লিনিক’ খোলা থাকবে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত। এখানে জ্বরে আক্রান্তদের পরীক্ষা হবে। সেই সঙ্গে সচেতনতামূলক প্রচারও চলছে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্রবাবু বলেন, “সার্বিক পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হয়েছে। উদ্বেগের কিছু নেই।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

medinipur medical college dead due to malaria
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE