Advertisement
E-Paper

ম্যালেরিয়ায় মৃত্যু নাতি-ঠাকুমার

ম্যালেরিয়ায় মৃত্যু হল দু’জনের। পশ্চিম মেদিনীপুরের গোয়ালতোড় ব্লকের গোহালডাঙা পঞ্চায়েতের বারিবোথ গ্রামের ঘটনা। মৃতেরা হলেন সুখী মাণ্ডি (৬৫) এবং তাঁর নাতি রাকেশ মাণ্ডি (৬)। একই পরিবারের আরও দু’জন গুরুতর অসুস্থ হয়ে মেদিনীপুর মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা বলেন, “মৃত দু’জনেই ফ্যালসিপেরাম ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন।” এই খবর চাউর হতেই বারিবোত গ্রামের একটি ক্লাবে মেডিক্যাল ক্যাম্প খুলেছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০১৪ ০২:২২

ম্যালেরিয়ায় মৃত্যু হল দু’জনের। পশ্চিম মেদিনীপুরের গোয়ালতোড় ব্লকের গোহালডাঙা পঞ্চায়েতের বারিবোথ গ্রামের ঘটনা। মৃতেরা হলেন সুখী মাণ্ডি (৬৫) এবং তাঁর নাতি রাকেশ মাণ্ডি (৬)। একই পরিবারের আরও দু’জন গুরুতর অসুস্থ হয়ে মেদিনীপুর মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা বলেন, “মৃত দু’জনেই ফ্যালসিপেরাম ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন।” এই খবর চাউর হতেই বারিবোত গ্রামের একটি ক্লাবে মেডিক্যাল ক্যাম্প খুলেছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর।

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, বেশ কিছু দিন ধরেই ওই গ্রামটিতে জ্বরের প্রকোপ দেখা দিয়েছিল। অনেকেই ওষুধ খাচ্ছিলেন, জ্বরও সেরে যাচ্ছিল। কিন্তু সম্প্রতি কয়েকজনের জ্বর কিছুতেই কমছিল না। তখন অসুস্থদের স্থানীয় কেওয়াকোল ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা করানো হয়। সেখান থেকেই মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় চারজনকে। তাঁদের মধ্যে সোমবার সুখী মাণ্ডির মৃত্যু হয়। পরদিন অর্থাৎ মঙ্গলবারই মারা যায় ৬ বছরের নাতি রাকেশও। এরপরেই স্বাস্থ্য দফতরের টনক নড়ে।

বুধবার সকালেই ওই গ্রামে যান জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, জেলা উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ প্রধান-সহ চিকিৎসকদের দল। চারদিকে ব্লিচিং ছড়ানো হয়। স্প্রে করা হয়। সকলকে মশারি খাটিয়ে শোওয়ার পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি মশারি বিলিরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। তারই সঙ্গে বর্তমানে যেহেতু এনসেফ্যালাইটিস, ডেঙ্গির মতো রোগেরও প্রাদুর্ভাবের আশঙ্কা রয়েছে, সে ব্যাপারেও ব্লক প্রশাসনকে সতর্ক করা হয়েছে। কারণ, ওই গ্রামে মানুষের সঙ্গে গরু, ছাগলের পাশাপাশি রয়েছে শুয়োরও।

জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, “এলাকা থেকে শুয়োরগুলি সরিয়ে অন্তত তিন কিলোমিটার দূরে রাখতে পঞ্চায়েত, বিডিও, প্রাণি সম্পদ বিকাশ বিভাগকে বলা হয়েছে।” কারণ, ওই গ্রামে আরও কিছু মানুষের জ্বর রয়েছে। জ্বর হলেই প্রত্যেককেই যাতে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা করা হয় তাও জানানো হয়েছে। স্থানীয় হাসপাতাল পরিস্থিতি খারাপ দেখলেই যাতে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয় সেই নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। মাইকিং করে সাধারণ মানুষকে বলা হচ্ছে, কারোর জ্বর কিংবা যন্ত্রণার উপসর্গ দেখা দিলেই রক্ত পরীক্ষা করতে এবং স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগাযোগ করতে।

malaria death
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy