Advertisement
E-Paper

রোগিণীর মৃত্যুতে হেনস্থা, ইস্তফা দিলেন চিকিত্‌সক

এক রোগিণীর মৃত্যুর জেরে হেনস্থা হতে হয়েছিল শুক্রবার সন্ধ্যায়। এরপরেই নিরাপত্তা নেই বলে অভিযোগ করে কাজ থেকে ইস্তফা দিলেন আলিপুরদুয়ার মহকুমা হাসপাতালের এক চিকিত্‌সক। শনিবার দুপুরে হাসপাতালের সুপারের কাছে ইস্তফাপত্র জমা দেন ওই চিকিত্‌সক পার্থপ্রতিম দাস। শনিবার দুপুরে তিনি সুপারের কাছে ইস্তফাপত্র জমা দেন। ওই চিকিত্‌সকের ইস্তফা অবশ্য এখনই গৃহীত হয়নি। সেটি ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। জলপাইগুড়ির জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রকাশ মৃধা বলেন, “ওনার সঙ্গে কথা বলব।”

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০১৪ ০০:৩৯

এক রোগিণীর মৃত্যুর জেরে হেনস্থা হতে হয়েছিল শুক্রবার সন্ধ্যায়। এরপরেই নিরাপত্তা নেই বলে অভিযোগ করে কাজ থেকে ইস্তফা দিলেন আলিপুরদুয়ার মহকুমা হাসপাতালের এক চিকিত্‌সক।

শনিবার দুপুরে হাসপাতালের সুপারের কাছে ইস্তফাপত্র জমা দেন ওই চিকিত্‌সক পার্থপ্রতিম দাস। শনিবার দুপুরে তিনি সুপারের কাছে ইস্তফাপত্র জমা দেন। ওই চিকিত্‌সকের ইস্তফা অবশ্য এখনই গৃহীত হয়নি। সেটি ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। জলপাইগুড়ির জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রকাশ মৃধা বলেন, “ওনার সঙ্গে কথা বলব।”

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় শহরের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আশা সেনকে (৬০) শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভর্তি করানো হয়। চিকিত্‌সককে ‘কলবুক’ পাঠানো হলেও, তিনি দেরিতে আসেন বলে অভিযোগ। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ৭টা ১৫ মিনিট নাগাদ চিকিত্‌সক পার্থপ্রতিম দাসকে কলবুক পাঠানো হয়। ওই চিকিত্‌সক ৭টা ৫৫ মিনিট নাগাদ হাসপাতালে আসেন বলে জানা গিয়েছে। ততক্ষণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন। চিকিত্‌সক দেরিতে এসেছেন বলে অভিযোগের পাশাপাশি মৃতের পরিবারের আরও দাবি, প্রথমে যে অক্সিজেন সিলিন্ডারটি রোগিনীকে দেওয়া হয়েছিল সেটি ফাঁকা ছিল। মৃতার ছোট ছেলে স্বরূপ সেনের অভিযোগ, “মাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর অক্সিজেন সিলিন্ডারটি লাগানোর পরেও দেখি মা কেমন করছে। আমার এক বন্ধু বিষয়টি নার্সদের জানালেও তারা গুরুত্ব দিতে চাননি। চিকিত্‌সকও অনেক দেরিতে আসেন।” গাফিলতির অভিযোগ তুলে রাত সাড়ে ৮টা থেকে দু’টো পর্যন্ত বিক্ষোভ চলে।

আলিপুরদুয়ার মহকুমা হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপার রেজাউল মিনাজ বলেন, “রোগীর আত্মীয়রা চিকিত্‌সক পার্থপ্রতিম দাসকে কয়েকবার হুমকি দেয়। তারপরেই এ দিন তিনি ইস্তফা দিয়েছেন।” হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, বর্তমানে ৩ জন ফিজিশিয়ান রয়েছে। তার মধ্যে একজন ইস্তফা দিলে পরিষেবা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। চিকিত্‌সক পার্থপ্রতিম দাস বলেন, “আমার বাড়ি হাসপাতাল থেকে ৩-৪ কিলোমিটার দূরে। সাতটা পনেরো মিনিট নাগাদ কলবুক লেখা হয়। তার পর হাসপাতাল থেকে আসা অ্যাম্বুল্যান্সে আমি হাসপাতালে পৌঁছাই সাতটা পঞ্চান্ন মিনিট নাগাদ। রোগীর পরিবারের অভিযোগ আমি নাকি দেরিতে এসেছি। আমাকে প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এভাবে কাজ করা সম্ভব নয়।”

কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, হাসপাতালে বার বার একটি পুলিশ ক্যাম্পের জন্য বলা হলেও কোনও ব্যবস্থা হয়নি। আলিপুরদুয়ারের জেলা পুলিশ সুপার অনুপ জায়সবাল বলেন, “শুক্রবার রাতের ঘটনার বিষয়টি জানা নেই তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশ ক্যাম্পের জন্য কোনও ফাঁকা কোয়ার্টার্স দিলে আমরা ব্যবস্থা করব।”

patient death assault resignation doctor alipurduar
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy