এই ছবি বদলাবে কবে? —ফাইল চিত্র।
পানীয় জল সরবরাহ বন্ধ, মাঝে-মধ্যেই তাই নির্জলা থাকে হাসপাতাল। লিফট খারাপ, স্ট্রেচার কাঁধে করেই চলছে সিঁড়ি ভেঙে উপরতলার ওয়ার্ডে রোগী ভর্তির কাজ। জরুরী বিভাগ থেকে শিশু বিভাগ, সর্বত্র অবাধ দালালরাজ। প্রায় প্রত্যেক দিনই অবাধে চলছে রেফারও। বেহাল এই চিত্র রামপুরহাট জেলা হাসপাতাল।
হঠাৎ পরিদর্শনে গিয়ে এই বেহাল পরিস্থিতি দেখেই, ফের সরব হলেন এলাকার তৃণমূল বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। সুপারের কাছে প্রস্তাব দিলেন, হাসপাতালের উন্নতি সাধনে একটি সমন্বয় কমিটির গঠনের। হাসপাতাল সুপার সুবোধ কুমার মণ্ডল বলেন, “বিধায়ক যে প্রস্তাব দিয়েছেন তা অবশ্যই ভালো প্রস্তাব। ১ জুলাই সমণ্বয় কমিটি গঠন করা হবে।”
ক্ষমতায় আসার পর রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতাল থেকে জেলা হাসপাতাল এবং রামপুরহাটকে পৃথক স্বাস্থ্য জেলার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী ঘোষিত সে পরিকল্পনা বাস্তব রুপ পায়নি। উল্টে এই হাসপাতালের পরিষেবা নিয়েই দিনের পর দিন ক্ষোভ বাড়ছে। রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলা পরিকল্পনা রুপায়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ স্বাস্থ্য আধিকারিক সুবীর কীর্তনিয়া সম্প্রতি রামপুরহাট হাসপাতালে ঘুরে যান। জি প্লাস থ্রি ক্যটাগরি প্রশাসনিক ভবন নির্মানের ফাইল কেন পূর্ত বিভাগের বর্ধমান বিভাগের অফিসে ফাইল বন্দি আছে সে ব্যপারে খোঁজ নিয়ে দ্রুত কাজ শুরু করার আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি। গত বছর রামপুরহাট হাসপাতালের জীর্ণ দশায় সরজমিন দেখে যান রাজ্য বিধানসভার স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যরাও। তাঁরা বিভিন্ন বিভাগে নোংরা, ঝুল জমে থাকা ও বেহাল পরিষেবার জন্য তকালীন সুপার হিমাদ্রি হালদার থেকে বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিষয় গুলি বিশেষ নজর দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়ে যান। আশিসবাবু বলেন, “শনিবার আচমকা হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায় ভিতরে ঢোকা দায়। চিকিৎসকদের দালালরা ঘোরাঘুরি করছে। ভর্তি থাকা রোগীরা পানীয় জল পাচ্ছেন না। নিয়মিত রোগীদের রেফার করা হচ্ছে।”
এরপর বিধায়ক সুপারের সঙ্গে দেখা করেন। পরিষেবা উন্নয়নে হাসপাতাল সুপার, চিকিসক, নার্স, হাসপাতাল কর্মী, জনস্বাস্থ্য কারিগরী দপ্তর, পূর্তদপ্তর, বিদ্যুৎ দপ্তর, পুলিশ ও রামপুরহাট মহকুমা শাসককে নিয়ে একটি সমন্বয় কমিটির প্রস্তাব দেন। রামপুরহাট মহকুমাশাসক রত্নেশ্বর রায় বলেন, আমি বিভিন্ন সময়ে হাসপাতালে পরিদর্শন করেছি। সেখানে দেখেছি ন্যুনতম পরিষেবার ঘাটতি আছে। হাসপাতালে রোগী কল্যাণ সমিতি আছে। তার বাইরে হাসপাতালের উন্নতি সাধনে যদি সমন্বয় কমিটি গঠিত তাকেও স্বাগত জানাব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy