হৃদয়ের দূরত্ব ছিল তিরিশ কিলোমিটার। পেরোতে সময় লাগল মাত্র ২১ মিনিট। আর তাতেই বাঁচল ষোলো বছরের কিশোর প্রাণ। সৌজন্য দিল্লি ও গুড়গাঁও পুলিশের তৎপরতা।
দক্ষিণ দিল্লির একটি বেসরকারি হাসপাতালে দূরারোগ্য হৃদ্রোগে ভুগছিল বছর ষোলোর এক কিশোর। চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন, হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপন করা ছাড়া বাঁচার অন্য উপায় নেই। অপেক্ষা ছিল হৃৎপিণ্ডের জন্য। গত শুক্রবারই গুড়গাঁওয়ের একটি হাসপাতালে বছর তিরিশের এক যুবকের মস্তিষ্কের মৃত্যু ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। তাঁর পরিবারের ইচ্ছে ও সম্মতি অনুযায়ী তাঁর হৃৎপিণ্ডটি অন্যের দেহে প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়।
তখনই ঠিক করা হয়, গুড়গাঁও থেকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হবে হৃৎপিণ্ডটি। কিন্তু বাদ সাধে দূরত্ব। তিরিশ কিলোমিটার দীর্ঘ ওই পথ দেড় ঘণ্টার আগে পার করা কার্যত অসম্ভব ছিল যানজটের কারণে। কিন্তু পুলিশের তৎপরতায় সম্ভব হল তা। পুলিশের নির্দেশে গুড়গাঁওয়ের হাসপাতালটির তরফে পুলিশ কমিশনারকে একটি ই-মেল করা হয় শুক্রবার দুপুরেই। আবেদন জানানো হয় ‘গ্রিন করিডর’-এর জন্য। যেখানে রাস্তার সব ক’টি সিগন্যাল সবুজ থাকবে, এবং তা দিয়ে প্রতিস্থাপনের জন্য হৃৎপিণ্ডটি দ্রুত পাঠিয়ে দেওয়া যাবে দিল্লির হাসপাতালে।
মঙ্গলবার সকালে উদ্যোগ শুরু হয় এই কাজের জন্য। গুড়গাঁওয়ের হাসপাতাল থেকে হৃৎপিণ্ডটি নিয়ে অ্যাম্বুল্যান্সে করে দিল্লির পথে রওনা দেওয়া হয়। গুড়গাঁও ও দিল্লি পুলিশের যৌথ উদ্যোগে ওই পথের সব ক’টি ট্র্যাফিক সিগন্যাল পরিচালিত হয়েছে মানুষের হাতে, যান্ত্রিক ভাবে নয়। ২৩ জন পুলিশকর্মী উদ্যোগী হয়ে অন্যান্য গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণ করে পথ করে দেন অ্যাম্বুল্যান্সটিকে। ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটারেরও বেশি গতিতেছুটে ২১ মিনিটের মধ্যে সেটিপৌঁছে যায় দিল্লি। কিশোরের দেহে সফল ভাবে প্রতিস্থাপনও করাহয় সেটি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy