অনেক পরিণত মানুষও যা করতে পারে না। তা করে দেখাল ৫ বছরের এক শিশু! জীবিত অবস্থায় নয়, মৃত্যুর পর। নিজের দেহ দান করে নতুন করে জীবন ফিরিয়ে দিল ৬ জনের।
২ জানুয়ারির সকাল। মায়ের হাত ধরে স্কুলে যাচ্ছিল ৫ বছরের ছোট্ট জনশ্রুথি। মাঝ রাস্তায় দুর্ঘটনা। প্রাথমিক চিকিৎসার পর একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে তাকে বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়া হলেও সঙ্কট যে কাটেনি তা বোঝা যায় এক দিন পর থেকেই। জনশ্রুথির শারীরিক অবস্থার ক্রমশ অবনতি ঘটতে থাকে। কোয়ম্বত্তুরের একটি নামী হাসপাতালে তাঁকে রেফার করা হয়। কিন্তু চিকিৎসায় সাড়া মেলেনি। বুধবার তাঁর ‘ব্রেন ডেথ’ হয়েছে বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। এক মাত্র শিশুর মৃত্যুতে স্বভাবতই খুব ভেঙে পড়েছিলেন জনশ্রুথির বাবা-মা। পরে তাঁর মেয়ের দেহ দান করার সিদ্ধান্ত নেন। একরত্তি মেয়ের দেহ দানের এই সিদ্ধান্তে চিকিৎসকেরাও প্রথমে হতচকিয়ে যান। সচরাচর এ রকম নজির নেই বলেই জানান তাঁরা।
চিকিৎসকেরা জানান, মেয়েটির কিডনি, হার্টের ভালভ্, লিভার এবং চোখ কাজে লাগানো গিয়েছে। বিশেষ বিমানে একটা কিডনি এবং লিভার তাঁরা চেন্নাইয়ের এক হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। তেমনই যে হাসপাতালে জনশ্রুথি ভর্তি ছিল সেখানকারই এক রোগীর দেহে আর এক কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
জনশ্রুথি দান করা অঙ্গে ৬ জন মুমূর্ষ রোগীর চিকিৎসা করা গিয়েছে।
আর শিশুটির বাবা-মা?
খুশি তাঁরাও। গর্বিত। কোয়ম্বত্তুরের এক সরকারি হস্টেলের রাঁধুনি তার বাবা বলেন, ‘‘এই ভাবেই অন্যদের মধ্যে আমাদের মেয়ে বেঁচে থাকবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy