ফাইল চিত্র।
কৃষক আন্দোলনের মধ্যে হঠাৎ রাহুল গাঁধীর বিদেশ যাওয়া নিয়ে বিজেপির কটাক্ষ তো ছিলই। এ বারে অস্বস্তি এল ঘরের মধ্যে থেকেই। উত্তরপ্রদেশের মেরঠে কংগ্রেসের জেলা সভাপতি বিনয় প্রধান করতে তো চেয়েছিলেন রাহুলের তারিফ। কিন্তু উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে বার বার রাহুলকে সম্বোধন করে বসলেন ‘পাপ্পু’ বলে। লোকসভা ভোটের আগে থেকে অমিত শাহরাই রাহুল গাঁধীকে ‘পাপ্পু’ বলে বিদ্রূপ করতেন। যার জবাবে কংগ্রেস নরেন্দ্র মোদীকে বলত ‘ফেকু’। কিন্তু কংগ্রেসেরই কোনও পদাধিকারী এমন সম্বোধন করবেন, সেটি ভাবেননি দলের নেতৃত্ব। ঘটনা সামনে আসতেই বিনয় প্রধানকে দল ও পদ থেকে সাময়িক ভাবে বহিষ্কার করে দেয় কংগ্রেস।
বিনয়কে কংগ্রেস দ্রুত সরিয়ে দেওয়ায় আরও গর্জে ওঠে বিজেপি। দলের মুখপাত্র সম্বিত পাত্র বলেন, ‘‘সন্দীপ দীক্ষিত সেনাপ্রধানকে রাস্তার গুন্ডা বলেছিলেন। তাঁকে শুধু সতর্ক করা হল। আর রাহুলকে ‘পাপ্পু’ বলাতে বহিষ্কার! এ তো তোষামোদ!’’ কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ বলেন, ‘‘যে শাস্তি দেওয়া হয়েছে, তা যথার্থ। শুধুমাত্র সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।’’ উত্তরপ্রদেশের কংগ্রেস সূত্রের খবর, বিনয় প্রধান বিজেপির দিকে পা বাড়িয়ে আছেন। তাই ইচ্ছে করেই এই কাজ করেছেন। কিন্তু বিনয় বলছেন, তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ার কাজ সামলান যাঁরা, এটি তাঁদের কাজ। রাহুলের সঙ্গে দেখা করে তিনি পুরোটা বোঝাবেন। কিন্তু রাহুলই তো দেশে নেই!
ঠিক কী ঘটেছিল? বিনয় হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে লেখেন, রাহুল গাঁধীকে দেশের একটি অংশ ‘পাপ্পু’ নামে জানে। ‘পাপ্পু’ দামি গাড়ি চড়েননি। অথচ চাইলে পারতেন। মন্ত্রী-প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ থাকলেও হননি। কখনও অম্বানী-আদানির পার্টিতে শরিক হননি, পাঁচ মিনিট সময়ও দেননি। কারণ, ‘পাপ্পু’ জানতেন এঁরা সরকারের সঙ্গে শুধু ব্যবসা করবেন, গরিবের রক্ত শুষবেন। কথাগুলি রাহুলের পক্ষে হলেও তাঁকে ‘পাপ্পু’ বলাই কাল হল কংগ্রেসের এই নেতাটির।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy