প্রতীকী ছবি।
গ্রামের তিন জনকে জখম করেছিল চিতাবাঘটি। বিপদ জেনেও ২৩ বছরের আনোয়ার তাকে তাড়া করে স্কুলবাড়ির একটি ঘরে ঢুকিয়ে শিকল তুলে দেন। তবে তাঁকেও ছাড়েনি চিতাবাঘটি। হাতের মাংস খুবলে নেয়। প্রাথমিক ভাবে স্থানীয় থানা তাঁকে সাহসিকতার জন্য পুরস্কৃতও করলেও তার চিকিৎসার যথাযথ ব্যবস্থা করেনি। অভিযোগ, গা করেনি স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বা গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকরা। তার ফলে ‘সাহসী’ আনোয়ারকে শেষ পর্যন্ত প্রাণই দিতে হল। ক্ষত বিষিয়ে গিয়ে গত রাতে মারা গেলেন তিনি।
গত রবিবার গুয়াহাটির ধীরেন পাড়ায় আনোয়ার চিতাবাঘটিকে বন্দি করার পর বনকর্মীরা সেটিকে নিয়ে যায় চিড়িয়াখানায়। আর আনোয়ারকে নিয়ে তার পরিবারের লোকেরা যান স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। তাঁর মা ও স্ত্রীর বক্তব্য, সেখানে আনোয়ারের ক্ষত বেঁধে ছেড়ে দেয় হাসপাতাল। রাতে হাতে অসহ্য ব্যথা হয়। তাঁকে গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
ড্রেসিং করে, ইঞ্জেকশন দিয়ে আনোয়ারকে সেখানকার চিকিৎসকরাও বাড়ি পাঠিয়ে দেন। সোমবার তাঁর হাত নীল হয়ে যায়। আনোয়ারকে ফের পাঠানো হয় মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
পরিবারের অভিযোগ, টাকা জমা না দিলে তাঁকে আইসিইউয়ে ভর্তি করতে চাননি কর্তৃপক্ষ। শেষ পর্যন্ত স্থানীয় বিধায়কের হস্তক্ষেপে তাঁকে ভর্তি করানো হয়। গত কাল তাঁকে রক্ত দেওয়ার প্রয়োজনও হয়েছিল। বিকল্প রক্তদাতা জোগাড় করে দিতে না পারায় আনোয়ারকে রক্ত দেওয়া হয়নি বলে আত্মীয়স্বজনের অভিযোগ। গত কাল গভীর রাতেই তাঁর মৃত্যু হয়। অবশ্য হাসপাতালের সুপার রমেন তালুকদারের দাবি, ‘‘চিকিৎসায় কোনও গাফিলতি হয়নি। আমি পুরো বিষয়টি তদারক করেছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy