সংসদে কংগ্রেসের নেতা অধীর চৌধুরী।—ছবি পিটিআই।
ঝিমিয়ে পড়া অর্থনীতি চাঙ্গা করার দাওয়াই দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু বেসরকারি লগ্নি আসছে না। কর আদায়ও বাড়ছে না। ফলে ভরছে না কোষাগার। অগত্যা লাভজনক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বেচে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে নরেন্দ্র মোদী সরকারকে। সংসদে এ নিয়ে আপত্তি তুলতে গেলেই আসছে বাধা।
কংগ্রেসের নেতা অধীর চৌধুরী ও মণীশ তিওয়ারি আজ লোকসভায় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিলগ্নিকরণের প্রসঙ্গ তোলার জন্য নোটিস দিয়েছিলেন। শূন্য প্রহরে অধীর এ বিষয়ে বলতে গেলেই প্রথমে সরকার পক্ষ জানায়, আগে দূষণ নিয়ে আলোচনা ও মন্ত্রীর জবাব হয়ে যাক। কিন্তু অধীর বলেন, দূষণ নিয়ে তো দু’দিন ধরেই আলোচনা হচ্ছে। সামনের সপ্তাহেও হতে পারে। কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তো তোলার অনুমতি দিন!
এমন সময় বিজেপি শিবির থেকে বাংলার সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়রা পার্শ্ব শিক্ষকদের হয়রানি নিয়ে শোরগোল শুরু করেন। স্পিকার ওম বিড়লা বোঝান, যদি অধীরদের বলার সুযোগ দিতে হয়, তা হলে লকেটদেরও দিতে হবে। এই পরিস্থিতিতে অধীরকে বলার অনুমতি দেওয়া হয়। অধীর সবে বলতে শুরু করেন, কোষাগার ভরাতে সরকার অর্থনীতির ক্ষতি করে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বেচে দিচ্ছে।
অথচ সংসদের সম্মতি ছাড়া এইচপিসিএল, বিপিসিএল-এর মতো সংস্থার বিলগ্নিকরণ করা যাবে না বলে আগে স্থির ছিল। এটুকু এগোতেই অধীরকে থামিয়ে, তাঁর মাইক্রোফোন বন্ধ করিয়ে লকেটকে বলতে দেন স্পিকার।
লকেট বলা শুরু করলেই বিবাদ বাধে তৃণমূলের সঙ্গে। সময়ের অভাবে অধীর পুরো বলতে না-পারলেও মিনিট তিনেকের বেশি চলতে দেওয়া হয় লকেট-তৃণমূল তরজা। যার ফলে এ দিনের মতো হারিয়ে যায় লাভজনক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিক্রির বিরোধ। কংগ্রেসের নেতা রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালার বক্তব্য, ‘‘এই সরকার কিছুই তো তৈরি করেনি। কিন্তু সব কিছু বেচে দিচ্ছে। এটিকেই বলে দেশ বেচে দেওয়া। লোকসভার ভোটের সময় বিজেপির স্লোগান ছিল, মোদী বলেই সম্ভব (মোদী হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়)। অক্ষরে অক্ষরে তা মিলে যাচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy