যাঁরা তিন তালাকের বিরোধিতায় সরব হননি, তাঁরাই এ বার যোগীর নিশানায়। —ফাইল চিত্র।
তিন তালাক প্রথাকে দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণের সঙ্গে তুলনা করলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। ফের তিন তালাক প্রথার কড়া সমালোচনা করলেন তিনি। দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণের সময় যাঁরা চুপ করে ছিলেন, তাঁদের সঙ্গে কোনও পার্থক্য নেই তিন তালাক প্রসঙ্গে নীরব থাকা লোকজনের— মন্তব্য উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর। প্রয়াত রাজনীতিক তথা দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী চন্দ্রশেখরকে নিয়ে লেখা একটি বই সোমবার প্রকাশ করেন আদিত্যনাথ। সেই অনুষ্ঠান থেকেই তিনি তিন তালাকের বিরুদ্ধে সুর চড়ান।
সরকার তিন তালাকের বিরুদ্ধে। কিন্তু মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড কিছুতেই এ বিষয়ে সরকার বা বিচারবিভাগকে নাক গলাতে দিতে রাজি নয়। —ফাইল চিত্র।
যোগী আদিত্যনাথ এ দিন বলেন, ‘‘তিন তালাকের মতো একটা জ্বলন্ত সমস্যা নিয়ে কিছু লোকের নীরবতা দেখে আমি আশ্চর্য হচ্ছি।’’ মহাভারতের বর্ণিত দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণের সঙ্গে তিন তালাক প্রথার তুলনা টেনে যোগী বলেন, ‘‘যখন দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ করা হচ্ছিল, তখন যাঁরা নীরবে দাঁড়িয়েছিলেন, তাঁদের প্রত্যেকের কথা আমার মনে পড়ছে। যাঁরা বস্ত্রহরণ করছিলেন, নীরব দর্শকরাও তাঁদের সমান দোষী ছিলেন। একই ভাবে, তিন তালাক সমস্যার বিষয়ে যাঁরা চুপচাপ রয়েছেন, তাঁরাও সমান দোষী।’’ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী চন্দ্রশেখরও দেশের সব নাগরিকের জন্য অভিন্ন আইনের পক্ষে ছিলেন বলে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এ দিন মন্তব্য করেছেন। এই প্রথার বিরুদ্ধে প্রত্যেকের রুখে দাঁড়ানো উচিত বলে যোগী আদিত্যনাথের মত।
আরও পড়ুন: গাড়ি থামিয়ে ৪ বছরের খুদের সঙ্গে কথা বললেন মোদী
মুসলিমদের মধ্যে প্রচলিত তিন তালাক প্রথা নিয়ে বিতর্ক এখন তুঙ্গে। এই প্রথা বাতিলের দাবিতে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে এখন সেই মামলার শুনানিও চলছে। কেন্দ্রীয় সরকারও তিন তালাক প্রথার অবলুপ্তিই চাইছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy