Advertisement
১১ মে ২০২৪

বিমানে বচসায় জড়ালেন দোলা

শিবসেনার রবীন্দ্র গায়কোয়াড়ের পরে তৃণমূলের দোলা সেন। বিমানসংস্থার কর্মীদের সঙ্গে গণ্ডগোলে জড়ানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের রাজ্যসভার এই সাংসদের বিরুদ্ধে।শুক্রবার মা-কে নিয়ে দিল্লি থেকে এয়ার ইন্ডিয়ার উড়ানে কলকাতায় ফিরছিলেন দোলা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০১৭ ০৩:৪২
Share: Save:

শিবসেনার রবীন্দ্র গায়কোয়াড়ের পরে তৃণমূলের দোলা সেন। বিমানসংস্থার কর্মীদের সঙ্গে গণ্ডগোলে জড়ানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের রাজ্যসভার এই সাংসদের বিরুদ্ধে।

শুক্রবার মা-কে নিয়ে দিল্লি থেকে এয়ার ইন্ডিয়ার উড়ানে কলকাতায় ফিরছিলেন দোলা। তখনই বিমানের আসন নিয়ে তাঁর সঙ্গে গণ্ডগোল বাধে বলে এয়ার ইন্ডিয়া সূত্রে খবর। কলকাতায় নামার পরে দোলা সেনকে এ নিয়ে ফোন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘আমি কি শিবসেনার মতো কাউকে মেরেছি নাকি!’’ এটুকু বলেই তিনি ফোন কেটে দেন। আর ফোন ধরেননি।

সম্প্রতি শিবসেনা সাংসদ রবীন্দ্র গায়কোয়াড়ের সঙ্গে এয়ার ইন্ডিয়ার অফিসারদের গণ্ডগোল নিয়ে গোটা দেশে হইচই হয়েছে। এয়ার ইন্ডিয়ার এক অফিসারকে ২৫ ঘা জুতো মারার অভিযোগ উঠেছে রবীন্দ্রর বিরুদ্ধে। ওই ঘটনার পরে এয়ার ইন্ডিয়া-সহ সব বিমানসংস্থা একযোগে রবীন্দ্রকে বয়কট করে। শেষে সংসদে দাঁড়িয়ে রবীন্দ্র ক্ষমা চাওয়ার পরে বরফ গলে।

এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, শুক্রবার দোলা তাঁর মাকে নিয়ে বিমানের ইমারজেন্সি জানলার সামনে গিয়ে বসেন। দোলার মা হুইল চেয়ারের সাহায্য নিয়ে বিমানে ওঠেন। ইমারজেন্সি জানলার সামনে থেকে মাকে নিয়ে দোলাকে সরে যেতে বলেন বিমানসেবিকা। বিমানসংস্থার কর্তা বলেন, ‘‘ইমারজেন্সি জানলার সামনে কোনও হুইল চেয়ার যাত্রীকে বসতে দেওয়া হয় না। কোনও কারণে জরুরি পরিস্থিতি দেখা দিলে ওই জানলা দিয়ে যাত্রীদের নামানো হয়। ফলে, তাড়াতাড়ি ওই জায়গা থেকে সরে আসতে পারবেন না, এমন কাউকে ওই জানলার সামনে বসতে দেওয়া হয় না। এটা আন্তর্জাতিক নিয়ম।’’ অভিযোগ, প্রথমে ওই আসন ছেড়ে দিতে রাজি হননি সাংসদ। এ নিয়ে তর্কবিতর্কও জুড়ে দেন। অনেক বাদানুবাদের পরে অন্য আসনে বসতে রাজি হন তিনি।

নিয়ম অনুযায়ী, বিমানসংস্থা যখন জানতে পারে যে কোন যাত্রীর হুইল চেয়ার প্রয়োজন, তখন তাঁকে কোনও ভাবেই ইমারজেন্সি জানলার পাশের আসন দেওয়া হয় না। এ ক্ষেত্রে কী করে দোলা সেনের মা-কে ওই আসন দেওয়া হল? বিমানসংস্থা জানিয়েছে, দোলা সেন আগে থেকে ওই আসন দু’টি বুক করে রেখেছিলেন। তাঁর মায়ের যে হুইল চেয়ার প্রয়োজন, তা বিমানসংস্থাকে তিনি জানানওনি। দিল্লি বিমানবন্দরে পৌঁছনোর পরে হুইল চেয়ার নিয়েছেন। ওই কর্তাই জানান, যদি সাংসদ বিমানসংস্থাকে আগে থেকে জানাতেন যে তাঁর মায়ের হুইল চেয়ার প্রয়োজন, তা হলে তাঁদের ওই আসন দেওয়া হতো না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Dola Sen Air India seating arrangement
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE