বেসরকারি স্কুলগুলি যাতে পড়ুয়াদের থেকে লাগামছাড়া ফি না নিতে পারে, সে জন্য তাদের উপর চাপ বাড়াচ্ছে কেজরীবাল সরকার।
বেশ কিছু দিন ধরেই অতিরিক্ত ফি নেওয়ার অভিযোগ উঠছিল দিল্লির বেশ কিছু বেসরকারি স্কুলের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে ইতিমধ্যেই ৪৪৯টি স্কুলকে শো-কজ নোটিসও পাঠিয়েছে রাজ্য সরকার। দু’সপ্তাহের মধ্যে স্কুলগুলিকে জবাব দিতে বলা হয়েছে। তবে এর পরে স্কুলগুলিকে আর কোনও সুযোগ দেওয়া হবে না বলেই শুক্রবার একটি সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়ে দিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল।
অভিভাবকদের অভিযোগের ভিত্তিতে বিচারক অনিল দেব সিংহের নেতৃত্বাধীন কমিটি মোট ১, ১০৮টি বেসরকারি স্কুলের আর্থিক রোজগার খতিয়ে দেখে। তার পরেই ৪৪৯টি স্কুলকে চিহ্নিত করা হয়। দিন চারেক আগে স্কুলগুলিকে শো-কজ নোটিস পাঠান উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়া।
আরও পড়ুন: ৫০ হাজার কোটি টাকা ফাঁকি!
প্রায় ৪ মাস পরে এ দিন সাংবাদিকদের সামনে এলেন কেজরীবাল। আর এসেই স্কুলগুলিকে কড়া বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। স্পষ্ট জানালেন, আগের সরকারের জমানায় স্কুলগুলি যে ভাবে পড়ুয়াদের লুটে এসেছে, তা এখন আর চলবে না। কেজরীর দাবি, ওই কমিটির থেকে পাওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী কিছু স্কুল খুব ভাল কাজ করলেও বেশ কয়েকটি বেসরকারি স্কুলের লাভের হিসেব কোনও কোনও ক্ষেত্রে ৫-১৫ কোটি টাকা পর্যন্ত। বেতন কমিশনের সুপারিশের হিসেব কষেই তাঁরা ছাত্রছাত্রীদের ফি-র অঙ্ক বাড়িয়ে ফেলেছেন। আর এর সঙ্গে তাল মেলাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে মধ্যবিত্ত অভিভাবকদের। লাগামছাড়া ফি-তে রাশ না টানতে পারলে সরকার বেসরকারি স্কুলগুলিকে নিজেদের আওতায় আনতে বাধ্য হবেন বলেই এ দিন হুঁশিয়ারি দেন কেজরী।
তবে তিনি আশাবাদী, এ বিষয়ে তাঁকে তেমন কোনও পদক্ষেপ করতে হবে না। ইতিমধ্যেই প্রতিটি বেসরকারি স্কুল কর্তৃপক্ষকে সরকারের তরফে লিখিত বার্তা পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রী এ দিন জানান, শিক্ষার মান বজায় রাখতে স্কুলগুলির উপর কড়া নজর রাখছে সরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy