ঐক্যবার্তা: ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদারদের সঙ্গে নিয়ে নয়াদিল্লিতে রাহুল গাঁধী। শনিবার এই ছবি টুইট করেছেন কংগ্রেস সভাপতি।
জানানো হয়েছিল, আজই নাম ঘোষণা হয়ে যাবে। কিন্তু দিনভর জল্পনা জিইয়ে রেখে কংগ্রেস নেতৃত্ব শেষ পর্যন্ত জানিয়ে দিলেন, ছত্তীসগঢ়ে মুখ্যমন্ত্রী বাছাই নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। আগামিকাল তা হবে। দলের তরফে এই রাজ্যের ভারপ্রাপ্ত নেতা পি এল পুনিয়া জানিয়েছেন, আগামিকাল বেলা ১২টার সময় ফের বৈঠক হবে। তার পরেই নাম ঘোষণা করা হবে।
মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে। অথচ বিপুল গরিষ্ঠতা পাওয়ার পরেও ছত্তীসগঢ় নিয়ে সিদ্ধান্ত কেন ঝুলে? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নে পুনিয়া জবাব দেন, ‘‘এত তাড়া কিসের? রাজ্যপাল তো শপথের জন্য ১৭ ডিসেম্বর (সোমবার) পর্যন্ত সময় দিয়েছেন।’’
গত বুধবারই বিধায়ক দলের বৈঠকে দিল্লি থেকে পর্যবেক্ষক হিসেবে রায়পুরে পাঠানো হয়েছিল মল্লিকার্জুন খড়্গেকে। সে রাতে দিল্লি ফেরার পথে তিনি জানান, দলে কোনও বিবাদ নেই। বিধায়কেরা যাঁদের নাম জানিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে থেকেই সিদ্ধান্ত নেবেন দলের সভাপতি। নামগুলি হল, অনুরাগ সিংহদেও, প্রদেশ সভাপতি তথা ওবিসি নেতা ভূপেশ বাঘেল, চরণদাস মহন্ত ও তাম্রধ্বজ সাহু।
আরও পড়ুন: মাতৃত্বের ছুটি থেকে জওয়ানদের উঁকিঝুঁকি! যুদ্ধে পাঠানো সম্ভব নয় মেয়েদের, বলছেন সেনাপ্রধান
মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থান নিয়ে ব্যস্ততা মিটিয়ে গত কাল ছত্তীসগড়ের মুখ্যমন্ত্রী পদের চার দাবিদারের সঙ্গেও আলোচনা করার কথা ছিল রাহুল গাঁধীর। কিন্তু রায়পুর থেকে এসে পৌঁছতে দেরি হয় তাঁদের। আজ দিনভর তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করেন রাহুল। ছিলেন পুনিয়া ও খড়্গেও। পাশাপাশি ‘শক্তি’ অ্যাপের মাধ্যমেও সে রাজ্যের কংগ্রেস কর্মী ও বিধায়কদের মতামত জেনে নিয়েছেন রাহুল। দলীয় সূত্রের খবর, বিধায়কদের একটা বড় অংশ চাইছেন অম্বিকাপুরের বিধায়ক অনুরাগকে।
৯০ আসনের বিধানসভায় দুই-তৃতীয়াংশের বেশি আসনে (৬৮) জিতেছে কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী বাছতে এত সময় লাগছে কেন?
আরও পড়ুন: সিন্ধিয়াকে সভাপতি করা হোক রাজ্যে, সরব অনুগামীরা
দলীয় সূত্রের বক্তব্য, রাহুল আসলে কোনও এক জনকে বেছে নেওয়ার আগে এটা নিশ্চিত করতে চান। তা হল, মুখ্যমন্ত্রী পদের বাকি সব দাবিদার ও তাঁদের অনুগামী-সমর্থকেরা যেন তাঁর পাশে জোটবদ্ধ থাকেন। সদ্য শেষ হওয়া সেমিফাইনালের মতোই ২০১৯-এর ফাইনালেও গোটা দল যেন জয়ের জন্য একজোট হয়ে ঝাঁপায়। এ ছাড়া কার পক্ষে সব স্তর, গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়ের মানুষের সমর্থন আদায়ে সবচেয়ে বেশি সফল হবেন, তা-ও মাথায় রাখতে হচ্ছে কংগ্রেস সভাপতিকে। কারণ, লোকসভা ভোটই এখন তাঁর পাখির চোখ। যে কারণে গত দু’দিনের মতো আজও মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদারদের পাশে নিয়ে হাসিমুখের এক গ্রুপ ছবি টুইট করেছেন রাহুল। সঙ্গে উদ্ধৃত করেছেন রিড হফম্যানের মন্তব্য, ‘‘তোমার বুদ্ধি বা কৌশল যতই ক্ষুরধার হোক, একা খেললে সব সময়েই তুমি একটা দলের কাছে হেরে যাবে।’’ রাহুল গত দু’দিনে কমলনাথ ও জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া এবং অশোক গহলৌত ও সচিন পাইলটকে দু’পাশে নিয়ে ছবি পোস্ট করেছেন টুইটারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy