Advertisement
E-Paper

কর্নাটকে টাকার খেলা! বিজেপি চুপ

এর মধ্যেই বিতর্ক উঠেছে মুখ্যমন্ত্রীকে রাজ্যপালের পর পর দু’টি নির্দেশ নিয়ে। প্রথমটিতে রাজ্যপাল শুক্রবার বেলা দেড়টার মধ্যে আস্থা ভোটের নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু স্পিকার কেআর রমেশ কুমার তা খারিজ করে আস্থা প্রস্তাবের ওপর আলোচনা চালিয়ে যান।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০১৯ ০৩:৩৭
—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী ভালই জানেন সংখ্যালঘু হয়ে গিয়েছে তাঁর সরকার। আজ না হোক দু’দিন পরেও আস্থা ভোট হলে হার অনিবার্য। কারণ, সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে গেলে ১০৫ জন বিধায়কের সমর্থন লাগলেও তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন ১০০ জন। কিন্তু ‘টাকা দিয়ে বিধায়ক কিনে’ সরকার ফেলার জন্য যে ভাবে ঝাঁপিয়েছে বিজেপি, বিধানসভায় আলোচনাকে দীর্ঘ করে সে বিষয়টি প্রচারের আলোয় আনার কৌশল নিয়ে চলেছে জেডিএস ও কংগ্রেস। শাসক দলের বিধায়কেরা সবিস্তার বর্ণনা করে চলেছেন, কী ভাবে তাঁদের কোটি কোটি টাকার লোভ দেখিয়েছেন বিজেপির নেতারা। এমনকি এখনও আস্থা ভোটে বিরুদ্ধে রায় দেওয়ার জন্য তাঁদের অর্থের লোভ দেখানো হচ্ছে। বিজেপি তার বিরোধিতাও করে উঠতে পারছে না, কারণ তাতে কালক্ষেপ হয়ে আরও পিছিয়ে যাবে আস্থা ভোট।

এর মধ্যেই বিতর্ক উঠেছে মুখ্যমন্ত্রীকে রাজ্যপালের পর পর দু’টি নির্দেশ নিয়ে। প্রথমটিতে রাজ্যপাল শুক্রবার বেলা দেড়টার মধ্যে আস্থা ভোটের নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু স্পিকার কেআর রমেশ কুমার তা খারিজ করে আস্থা প্রস্তাবের ওপর আলোচনা চালিয়ে যান। বিকেলে দ্বিতীয় চিঠি দিয়ে রাজ্যপাল বাজুভাই বালার নির্দেশ, শুক্রবারের মধ্যেই আস্থা ভোট নিয়ে ফয়সালা করে ফেলতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘রাজ্যপালের কেন এত তাড়া? তিনি বলছেন, ঘোড়া কেনাবেচার খবর পাচ্ছেন তিনি। সেটা যে বিজেপি করছে, সেই খবরও তা হলে তাঁর কাছে রয়েছে! তা হলে কেন আস্থা ভোটে সময়সীমা বাঁধছেন?’’ কংগ্রেস বিধায়ক দলের নেতা সিদ্দারামাইয়ার দাবি, রাজ্যপালকে ব্যবহার করছে বিজেপি। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের চাপেই আস্থা ভোটের সময়সীমা বাঁধছেন বালা। বেলা দেড়টায় বিজেপি বিধানসভায় রাজ্যপালের নির্দেশের কথা তুলতেই কংগ্রেসের সদস্যদের সঙ্গে তাদের হাতাহাতির উপক্রম হয়। স্লোগান ওঠে ‘রাজ্যপাল দূর হটো!’ স্পিকার সভা মুলতুবি করে দেওয়ায় বিপাকে পড়ে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘রাজ্যপালের নিন্দা করছি না। কিন্তু বিধানসভা কী ভাবে চলবে, রাজ্যপাল কি তাতে হস্তক্ষেপ করতে পারেন?’’ এ নিয়ে তিনি সুপ্রিম কোর্টেও মামলা দায়ের করেছেন।

বিজেপি মুখে বলছে, আস্থা ভোট পিছোনো নিয়ে তাঁরা আদৌ ভাবছেন না। আজ না হোক, দু-এক সপ্তাহ পরে সেটা হবে। আর তার ফলাফল নিয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই। কারণ ১০৭ জন বিধায়ক বিজেপির সঙ্গেই রয়েছেন। কিন্তু তাঁদের বিরুদ্ধে টাকা দিয়ে বিধায়ক কেনার এত অভিযোগ যে উঠছে? বিজেপি বিধায়ক দলের নেতা বিএস ইয়েদুরাপ্পা বলেন, ‘‘মানুষ বিশ্বাস করে না। দলের নেতাদের ওপর আস্থা হারিয়েই শাসক দলের বিধায়কেরা বিজেপিতে আসতে চেয়েছেন। মোদী-শাহের ব্যক্তিত্ব ও নেতৃত্বে তাঁরা আস্থা প্রকাশ করেছেন। কেউ টাকা দিয়ে কিনে আনেনি।’’

Karnataka BJP
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy