শবরীমালা মন্দিরে ভক্তদের ভিড়। —ফাইল চিত্র।
শবরীমালা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে কেরলে পথে নামল বিজেপি এবং কংগ্রেস। প্রকাশ্যে অবশ্য দু’দলই তাদের বিক্ষোভকে পিনারাই বিজয়ন সরকারের বিরুদ্ধে বলে দাবি করেছে। রাজনৈতিকদের একাংশের মতে, বিজয়নকে আক্রমণের আড়ালে আদতে রাজ্যে হিন্দুত্বের রাজনীতি করছে দলগুলি।
শবরীমালা নিয়ে রাজ্যের দুই বিরোধী দলের পথে নামাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি এবং আরএসএস রাজ্যে সাম্প্রদায়িক ভেদাভেদ তৈরি করতে চাইছে। তাঁর কথায়, ‘‘শুধু কয়েকটি ভোটের জন্য কোনও সামাজিক কুসংস্কার সমর্থন করে কেরলকে পিছনে নিয়ে যেতে পারব না।’’ রাজ্য কংগ্রেসের এমন পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ বিজয়ন। খোদ কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী ক’দিন আগেই শবরীমালা নিয়ে রাজ্যের বাম সরকারকে সমর্থন করেন। তার পরেও রাজ্য কংগ্রেস যে ভাবে শবরীমালা নিয়ে পথে নামছে, তাতে হিন্দুত্ববাদীদের হাতই শক্ত হবে বলে অভিযোগ বামেদের।
বৃহস্পতিবার কান্নুরের কাসরগোডের সিদ্ধি বিনায়ক মন্দির থেকে ‘শবরীমালা বাঁচাও রথ যাত্রা’-র সূচনা করেন কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রবীণ বিজেপি নেতা বি এস ইয়েদুরাপ্পা। একই দিনে রাজ্যের পাঁচটি জায়গা থেকে পদযাত্রা শুরু করেছে কংগ্রেসও।
রথযাত্রার সূচনা করে ইয়েদুরাপ্পা বলেন, ‘‘মানুষের আবেগকেও সম্মান করা আমাদের কর্তব্য। ৯০ শতাংশ মহিলা ভক্তই এই রায়ের বিরুদ্ধে। তাই আমাদের কর্তব্য বিরোধিতা করা।’’ শবরীমালা নিয়ে বাম সরকারের কড়া মনোভাবের জন্য ক’দিন আগেই সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক এ এন রাধাকৃষ্ণণের অভিযোগ, বিজয়ন সরকার লৌহমুষ্ঠিতে আয়াপ্পা ভক্তদের দমন করছে। এ দিনই উস্কানিমূলক বক্তব্য রাখার অভিযোগে রাজ্য বিজেপি সভাপতি পি এস শ্রীধরণ পিল্লাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছে কেরল পুলিশ।
শবরীমালা নিয়ে বিজেপিকে জমি ছাড়তে নারাজ কংগ্রেস। তাই রথের পাল্টা পথে নেমেছে তারা। কংগ্রেসের দাবি, রাজনৈতিক ফায়দার জন্যই আয়াপ্পা ভক্তদের পাশে দাঁড়ানোর কথা বলছে বিজেপি। অথচ সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরে প্রথম সেই রায়ের সমর্থনে মুখ খুলেছিল আরএসএস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy