দু’বছর আগে ডাকাতদের তাড়া করতে গিয়ে ট্রেনে দু’টি পা কাটা পড়েছিল সেজল লাডোলা নামে এক মহিলার। রাতের ট্রেনে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রেল কর্তৃপক্ষের কাছে চিকিৎসার জন্য ক্ষতিপূরণ চেয়েছিলেন তিনি। তবে এখনও তা পাননি। সেই মামলায় মহিলাকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ক্ষেত্রে রেলকে অবিলম্বে সিদ্ধান্ত নিতে নির্দেশ দিল বম্বে হাইকোর্ট।
২০১৫-র ৯ ফেব্রুয়ারির ঘটনা। সেকেন্দ্রাবাদ-রাজকোট এক্সপ্রেসের যাত্রী ছিলেন সেজল। রাত ৩টে নাগাদ খান্ডালা স্টেশনে ট্রেনটি দাঁড়িয়েছিল। তখনই এক দল ডাকাত সেজলের কামরায় হানা দেয়। তাঁর টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে তারা পালিয়ে যায়। পিছু নিতে ট্রেন থেকে নামেন সেজল। কিন্তু ট্রেন চলতে শুরু করায় তিনি আবার ফিরে আসেন। চলন্ত ট্রেনে উঠতে গিয়ে পা পিছলে পড়ে যান তিনি। এই ঘটনার অব্যবহিত পরেই রেল কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষতিপূরণের আবেদন জানান। ১৩ এপ্রিল আবেদনকারীর আইনজীবী সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের নোটিস দেন।
পুণে রেলের ডিভিশনাল নিরাপত্তা কমিশনার মু্ম্বইয়ের সিনিয়র ডিভিশনাল নিরাপত্তা কমিশনারকে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ৩৯৪ ও ৩৯৭ ধারায় এফআইআর হয়েছে এই মর্মে চিঠি পাঠান। হাইকোর্টে সেই চিঠি পেশ করা হয়। তবে আশ্চর্যজনক ভাবে সিনিয়র ডিভিশনাল নিরাপত্তা কমিশনার ওই নোটিস আবেদনকারীর কাছে ফেরত পাঠান এই বলে যে, খান্ডালা মধ্য রেলের এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে। সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
হাইকোর্ট জানিয়েছে, অন্য মামলাগুলির থেকে এই মামলার পরিস্থিতি আলাদা। ১৯৯৯-র রেলের আইন অনুযায়ী ওই আবেদনকারী ক্ষতিপূরণ পাবেন না। তবে ক্ষতিপূরণের বিষয়টি রেলকে বিবেচনা করতে হবে। প্রয়োজনে রেল ট্রাইব্যুনালের কাছে তিনি ক্ষতিপূরণের আবেদন জানাতে পারেন। মামলার পরের শুনানি আগামী সোমবার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy