বিচারবিভাগে শূন্যপদ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতিরা যে ভাবে কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করেছেন, তাতে যথেষ্ট ক্ষুব্ধ কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। এই ক্ষোভের কারণ, কেন্দ্রের কোনও আইনজীবীর অনুপস্থিতি ছাড়াই হাইকোর্টের বিচারপতিরা শূন্যপদের জন্য কেন্দ্রকে দায়ী করেছেন। শূন্যপদ পূরণে দ্রুত যথোচিত ব্যবস্থা নেওয়া না হলে আইনমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। অথচ কেন্দ্রকেই তার বক্তব্য জানানোর কোনও সুযোগ দেওয়া হয়নি।
বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত ও বিচারপতি দেবীপ্রসাদ দে-র ডিভিশন বেঞ্চ বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে আইন মন্ত্রকের ‘নীরবতা’ প্রসঙ্গে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদকে হুঁশিয়ারি দেন, অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে শূন্যপদ পূরণ করা না হলে ‘আইনানুগ যথোচিত ব্যবস্থা’ নেওয়া হবে। ডিভিশন বেঞ্চের যুক্তি, বিচারপতি নিয়োগ না করার অর্থ বিচারব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করা। তাঁদের এই উদ্বেগ যাতে দ্রুত আইনমন্ত্রীকে জানানো হয়, সেই বিষয়েও রেজিস্ট্রার জেনারেলকে নির্দেশ দেন বিচারপতিরা।
সোমবারই একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে কলকাতায় যাচ্ছেন রবিশঙ্কর। আইন মন্ত্রকের কর্তাদের যুক্তি, অভিনেতা বিক্রম চট্টোপাধ্যায়ের আগাম জামিনের মামলার শুনানির সময়ে বিচারপতিরা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন। ওই শুনানির সময়ে কেন্দ্রের কোনও আইনজীবীর হাজির থাকার কথা ছিল না। তা সত্ত্বেও তখনই কেন্দ্রের ভূমিকার সমালোচনা করেন বিচারপতিরা। তার ফলে নরেন্দ্র মোদী সরকার যে তিন বছরে যথেষ্ট বিচারপতি নিয়োগ করেছে, নিয়োগের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত না হওয়া সত্ত্বেও বিচারপতি নিয়োগ চলছে, তা জানানোর সুযোগ হয়নি। এখনও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামের সঙ্গে আইন মন্ত্রকের টানাপড়েন চলছে। নিয়োগের ক্ষেত্রে শেষ কথা বলার অধিকার কার কাছে থাকবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy