পরিষেবা পাওয়ার প্রশ্নে আধার বাধ্যতামূলক করতে রাজি হয়নি সুপ্রিম কোর্ট। গত সপ্তাহে স্বাস্থ্য মন্ত্রকও জানিয়ে দিয়েছে, আধার না থাকলেও স্বাস্থ্য প্রকল্প আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের ফায়দা পাবেন নাগরিকরা। এই পরিস্থিতিতে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে আধার নম্বর চাওয়ার অভিযোগ উঠল সিবিএসই বোর্ডের বিরুদ্ধে।
সিবিএসসি তাদের প্রতিটি স্কুলের সম্পূর্ণ বিবরণ মাউসের এক ক্লিকে বন্দি করতে ওএএসআইএস নামে একটি প্রকল্প হাতে নেয়। অভিযোগ, সেই প্রকল্পের জন্য তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে পড়ুয়াদের কাছ থেকে আধার নম্বর জানতে চেয়েছেন দিল্লির একাধিক স্কুল কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ এও উঠেছে যে, যে সব পড়ুয়ার আধার নম্বর নেই তাদের পরিবারকে জোর করা হচ্ছে আধার নম্বর বানানোর জন্য। এর আগে যে ছাত্র-ছাত্রীরা মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় বসতে চলেছে, তাদের পরীক্ষার ফর্ম পূরণের সময়ে আধার নম্বর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল সিবিএসই কর্তৃপক্ষ।
অভিযোগ উঠেছে, পড়ুয়াদের ধর্মও জানতে চাওয়া হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন আপ নেতা সোমনাথ ভারতী। তাঁর কথায়, এই সিদ্ধান্ত বিপজ্জনক এবং ক্ষমাহীন। না হলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে আপ শিবির। বিতর্ক শুরু হওয়ায় অস্বস্তিতে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক। তাদের যুক্তি, সরকারি পরিষেবা পাওয়ার জন্য আধার বাধ্যতামূলক নয় ঠিকই। এ ক্ষেত্রেও যাদের আধার নেই তাদের উপর কোনও জোর খাটানো হচ্ছে না। কেবল ভবিষ্যতে যাতে ছাত্র-ছাত্রীরা তা করিয়ে নেয়, সেই পরামর্শই দেওয়া হচ্ছে মাত্র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy