প্রতীকী ছবি।
দেশ জুড়ে সফল ভাবে মিড-ডে মিল প্রকল্প চালানোর জন্য জেল, মন্দির, গুরুদ্বারগুলোকেও কাজে লাগাতে বলল কেন্দ্র। সেই সঙ্গে ওই খাবারে বৈচিত্র আনতে ব্লক থেকে রাজ্য স্তর পর্যন্ত রান্না প্রতিযোগিতার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, রান্না যাচাইয়ে পড়ুয়াদেরও রাখা হোক।
স্কুলপড়ুয়াদের জন্য মিড-ডে মিল রান্না হয় অনেক স্কুলে। কলকাতায় কিছু স্কুলে স্থানাভাবে কমিউনিটি কিচেনে খাবার রান্না করে স্কুল স্কুলে বিলি করার ব্যবস্থা আছে। মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের স্কুলশিক্ষা বিভাগের যুগ্মসচিব আর সি মিনার স্বাক্ষরিত সম্প্রতিক নির্দেশে মিড-ডে মিল প্রকল্পকে আরও কার্যকর করার জন্য বেশ কিছু বিষয়ের উল্লেখ করা হয়েছে। খাবার রান্নার জন্য জেল, মন্দির, গুরুদ্বার এবং অন্য জায়গার পরিকাঠামোকে কাজে লাগানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের এক কর্তা সোমবার জানান, জেলে মিড-ডে মিল রান্না প্রথম শুরু হয় চণ্ডীগড় জেলে। সেই উদ্যোগ খুবই সফল হয়। তাই একে ‘চণ্ডীগড় মডেল’ বলে। কেন্দ্র এ বার দেশ জুড়েই এই মডেল চালু করতে চাইছে। এতে জেলবন্দিদের রোজগার হবে। তাঁদের এই রান্না করার কুশলতা জেল থেকে বেরিয়ে কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রেও সাহায্য করে বলে জানালেন ওই আধিকারিক। তবে রান্না যাতে স্বাস্থ্যকর পরিবেশে হয়, সে-দিকে কড়া নজর রাখতে হবে।
বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির নেতা স্বপন মণ্ডলের বক্তব্য, জেল, গুরুদ্বার, মন্দিরে রান্নার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হলেও মসজিদের কথা নির্দিষ্ট ভাবে উল্লেখ করা হয়নি। মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের ওই আধিকারিকের অবশ্য বক্তব্য, জেল, মন্দির, গুরুদ্বারে রান্না হয়। তাই সেই পরিকাঠামো ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। কেন্দ্রের নির্দেশ, মিড-ডে মিলে বৈচিত্র আনতে হবে। একই খাবার যেন রোজ দেওয়া না-হয়। স্বাদবদলে ব্লক থেকে রাজ্য স্তর পর্যন্ত রান্না প্রতিযোগিতার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যার থেকে উঠে আসবে পড়ুয়াদের পছন্দের অভিনব মেনু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy