জল পাওয়ার জন্য দীর্ঘ লাইনে শিমলার বাসিন্দারা।
শিমলায় জলসঙ্কট নিয়ে পারদ চড়ছে হিমাচলপ্রদেশে। সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন কেন্দ্রও রিপোর্ট তলব করেছে
হিমাচল সরকারের কাছে। পরে রাজ্যের মুখ্যসচিব বিনীত চৌধুরি জানান, রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রকে। গত কাল হাইকোর্টও জল সঞ্চয়ের ক্ষেত্রে কঠোর নীতি নিয়েছে। শিমলার কেন্দ্রে কয়েকটি এলাকায় নির্মাণ ও গাড়ি ধোওয়ার ক্ষেত্রে জলের ব্যবহার বন্ধ রাখতে বলেছে। জলের ট্যাঙ্কার পাঠানো হবে না কোনও মন্ত্রী, আমলা বা বিচারপতির মতো ভিআইপিদের বাড়িতেও। ব্যতিক্রম মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপাল। এ বার শিমলা পুরসভাকে আদালতের নির্দেশ, দু’দিনের মধ্যে যে সমস্ত হোটেল জল-কর মেটাতে ব্যর্থ হবে তাদের ক্ষেত্রে অবিলম্বে বন্ধ করে দিতে হবে জল সরবরাহ।
গত কয়েক দিন ধরেই কাইঠু অঞ্চলে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন সেখানকার কিছু বাসিন্দা। তাঁদের মধ্যে দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ। অন্য দিকে পুলিশের তত্ত্বাবধানে জল সরবরাহের ব্যবস্থা করেছে শিমলা পুরসভা। আজ ২৭টি জলের ট্যাঙ্কার পাঠানো হয়েছে শিমলার ৬৩টি জায়গায়। সরবরাহ করা হয়েছে ২.২৫ লক্ষ লিটার জল। জলসঙ্কটের পরে মিনারেল ওয়াটারের চাহিদা বেড়েছে ৬০ শতাংশ। মিনারেল ওয়াটারের পাইকারি ব্যবসায়ী জসবীর সিংহ বলেন, ‘‘আমি সাধারণত ৪০০ প্যাকেট জলের বোতল সরবরাহ করি। কিন্তু এখন সেখানে জলের চাহিদা ৭০০ প্যাকেটও
ছাপিয়ে গিয়েছে।’’
সঙ্কটে পর্যটনও। অনেকেই বাতিল করেছেন হিমাচলে বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা। নেট দুনিয়ায় জল সঙ্কটের বিষয়টি ক্রমশ আতঙ্কে পরিণত হয়েছে পর্যটকদের কাছে। যার প্রভাব পড়ছে পর্যটন ব্যবসায়। শিমলা প্রশাসনের তরফেও স্থগিত রাখা হয়েছে ‘ইন্টারন্যাশনাল শিমলা সামার ফেস্টিভ্যাল’।
পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আজ ফের উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসেছেন মুখ্যমন্ত্রী জয় রাম ঠাকুর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy