ফাইল চিত্র।
জম্মু-কাশ্মীর থেকে ‘অবিলম্বে’ ১০০ কোম্পানি আধা সামরিক বাহিনী প্রত্যাহারের নির্দেশ দিল কেন্দ্র। জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের এক বছর ১৪ দিনের মাথায় আজ এই নির্দেশ নরেন্দ্র মোদী সরকারের। কেন্দ্রশাসিত এই অঞ্চলে কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী (সিএপিএফ) মোতায়েন পর্যালোচনার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
গত বছরের ৫ অগস্ট জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে কেন্দ্র। তার আগে উপত্যকা-সহ গোটা রাজ্য কার্যত নিরাপত্তার বলয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছিল। প্রশাসনের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে জানিয়েছেন, উপত্যকা থেকে ‘অবিলম্বে’ ১০০ কোম্পানি সিএপিএফ সরিয়ে দিতে বলা হয়েছে। নির্দেশে আরও বলা হয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের আগে ওই কোম্পানিগুলিকে দেশের যে যে জায়গা থেকে উপত্যকায় আনা হয়েছিল, আবার সেখানে পাঠিয়ে দিতে হবে। যে ১০০ কোম্পানিকে সরিয়ে দিতে বলা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে ৪০ কোম্পানি সিআরপিএফ এবং ২০ কোম্পানি করে সিআইএসএফ, বিএসএফ এবং এসএসবি। প্রতি কোম্পানিতে ১০০ জন করে জওয়ান থাকেন। আধাসেনা সরানোর কাজ চলতি সপ্তাহের মধ্যে শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র।
গত ডিসেম্বরে জম্মু-কাশ্মীর থেকে কেন্দ্র ৭২ কোম্পানি আধা সামরিক বাহিনী প্রত্যাহার করেছিল। গত মে মাসে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ থেকে ১৫০০ আধাসেনা জওয়ানকে সরিয়ে নিয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। তবে এ বার সবচেয়ে বেশি সংখ্যক আধাসেনা সরানোর নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় সরকার।
আরও পড়ুন: খুশি নীতীশ, চাপ বাড়াবে বিজেপি, শঙ্কায় মহারাষ্ট্র
উপত্যকায় জঙ্গি তৎপরতা অবশ্য অব্যাহত। আজও নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে এক জঙ্গি নিহত হয়েছে। দক্ষিণ কাশ্মীরের শোপিয়ানের মোলু চিত্রাগামে ওই সংঘর্ষ হয়। নিহত জঙ্গির পরিচয় এখনও জানা যায়নি। সূত্রের খবর, ওই এলাকায় এখনও দু’জন জঙ্গি লুকিয়ে থাকতে পারে। সেনাবাহিনীর মুখপাত্র জানিয়েছেন, রাজৌরি জেলায় সুন্দরবনি সেক্টরে আজ নিয়ন্ত্রণরেখায় সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করে গুলি ও মর্টার ছোড়ে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। ভারতীয় সেনা তার যোগ্য জবাব দিয়েছে।
উপত্যকায় এখনও বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি ও জঙ্গি তৎপরতা রয়েছে। মেহবুবা মুফতির মতো রাজনৈতিক নেত্রী গৃহবন্দি। উপত্যকায় বিজেপি নেতা-কর্মীদের উপর হামলা চলছে— এই পরিস্থিতিতে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। তবে সাম্প্রতিক সেনা হ্রাসের ফলে কাশ্মীরে সিআরপিএফের শক্তি দাঁড়াবে ৬০ ব্যাটেলিয়ন (প্রতি ব্যাটেলিয়নে থাকে ১ হাজার জওয়ান)। এছাড়াও থাকছে সিএপিএফের বেশ কিছু ইউনিট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy