সাংসদদের বেতন ও সুযোগ-সুবিধায় সংস্কারের জন্য কমিশন গঠনের প্রস্তাব আনছে কেন্দ্র। বিশাখাপত্তনমে আগামী সপ্তাহে শুরু হচ্ছে অল ইন্ডিয়া হুইপস’ কনফারেন্স। সেই সম্মলেনর আলোচ্য সূচিতেই এই তিন সদস্যের বেতন কমিশন গঠনের প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত করেছে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রক। স্বাধীন বেতন কমিশনই স্থির করুক, সাসংদদের বেতন বাড়া উচিত না অনুচিত, চাইছে কেন্দ্র।
সাংসদদের মধ্যে অনেককেই প্রকাশ্যে নিজেদের বেতন বৃদ্ধির দাবিতে সোচ্চার হতে শোনা গিয়েছে। কিন্তু, গণমাধ্যমে এই বিষয়টি সামান্য সমালোচিত হয়েছে। অনেকেই বলেছেন, সাংসদদের বেতন কী হবে তা স্থির করার অধিকার সাংসদদের হাতে থাকা উচিত নয়। কোনও স্বশাসিত কমিশনকে এই ভার দেওয়া উচিত। কেন্দ্র এ বার সেই পথেই হাঁটতে চাইছে।
১৯৫৪ সালে তৈরি একটি আইন অনুযায়ী সাংসদরা বেতন ও অন্যান্য সুযোগ পেয়ে থাকেন। সেই আইন বেশ কয়েক বার সংশোধিত হয়েছে। শেষ বার সংশোধিত হয়েছিল ২০১০ সালে ইউপিএ-২ জমানায়। তার পর থেকে ভারতের সাংসদরা ৫০ হাজার টাকা করে মাসিক বেতন পান। অধিবেশনে বা সংসদীয় স্থায়ী সমিতির বৈঠকে হাজির হলেই রোজ ২০০০ টাকা করে পান। সঙ্গে সংসদীয় ক্ষেত্র ভাতা বাবদ পান মাসে ৪৫ হাজার টাকা। স্টেশনারি খরচের জন্য পান মাসে ১৫ হাজার টাকা। আপ্ত সহায়ক বা ব্যক্তিগত সচিব রাখার জন্য পান প্রতি মাসে ৩০ হাজার। এ ছাড়া সাংসদদের বিমান ও রেলের টিকিটের দাম, তিনটি ল্যান্ড ফোনের এবং দু’টি মোবাইলের বিলও সংসদই বহন করে।
এই বেতন ও সুযোগ-সুবিধা যথেষ্ট নয় বলে মনে করছেন অধিকাংশ সাংসদই। তাই এ বার তিন সদস্যের স্বাধীন কমিশন গঠন করে বেতন সংস্কারের পথে হাঁটতে চায় সংসদ বিষয়ক মন্ত্রক। মন্ত্রক যে প্রস্তাব আনছে, তাতে বলা হয়েছে, সাংসদদের বেতন এত কম হওয়া উচিত নয় যে সাংসদ হওয়ার যোগ্য ব্যক্তিরা নিরুৎসাহিত হয়ে সংসদ থেকে মুখ ফিরিয়ে থাকুন। বেতন এত বেশিও হওয়া উচিত নয় যে মূলত বেতনের মোহেই সকলে সাংসদ হওয়ার জন্য উৎসাহী হয়ে উঠুন। যে পরিমাণ দায়িত্ব সাংসদদের পালন করতে হয়, তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বেতন ও সুযোগ-সুবিধার কাঠামোয় সংস্কার আনা উচিত বলে কেন্দ্র মনে করছে। তাই তিন সদস্যের একটি কমিশনের হাতে সেই কাঠামো নির্ধারণের ভার দেওয়ার পথে ভেঙ্কাইয়া নাইডুর মন্ত্রক এগচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy