ফাইল চিত্র।
সেনার জয়গান গেয়ে জাতীয়তাবাদের ঢেউ তুলতে চাইছে বিজেপি। কিন্তু মোদী সরকারের জমানাতেই সামরিক বাহিনীর যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতির হাল সব থেকে খারাপ।
প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ ভামরে নিজেই আজ সংসদে জানিয়েছেন, চিন তার সামরিক বাহিনীর জন্য ভারতের তুলনায় তিন গুণ খরচ করছে। চিনের জিডিপি ভারতের চেয়ে অনেক বেশি। জিডিপি-র তুলনায় সামরিক খরচের নিরিখেও চিনের চেয়ে ভারত অনেকটা পিছিয়ে। সামরিক খাতে খরচ যে ভাবে কমছে, তাতে একই সঙ্গে চিন ও পাকিস্তান সীমান্তে যুদ্ধ বাধলে ভারত তার জন্য কতখানি তৈরি, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে সংসদের ‘এস্টিমেটস কমিটি’। যার প্রধান বিজেপিরই মার্গদর্শকমণ্ডলীর সদস্য মুরলীমনোহর জোশী। তাঁর রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৭-’১৮-র বাজেট অনুমান অনুযায়ী প্রতিরক্ষা খাতে জিডিপি-র মাত্র ১.৫৬ শতাংশ বরাদ্দ হয়েছে। ১৯৬২-র ভারত-চিন যুদ্ধের পরে কখনও এত কম খরচ হয়নি।
প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, স্টকহলম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালে ভারত সামরিক খাতে প্রায় ৬৪ হাজার ডলার খরচ করেছিল, আর চিন প্রায় ২ লক্ষ ২৮ হাজার ডলার।
জোশী কমিটির রিপোর্টের বক্তব্য, বর্তমান পরিস্থিতিতে একই সঙ্গে দুই সীমান্তে যুদ্ধ লাগবে না বলে ভারত হাত গুটিয়ে বসে থাকতে পারে না। কমিটির ‘অখুশি’ হওয়ার কারণ হল, প্রতিরক্ষা খাতে মোট খরচের মধ্যেও নতুন অস্ত্র, সড়ক পরিকাঠামোর মতো ক্ষেত্রে খরচের হার খুব কম। ২০১৩-’১৪-য় যা ছিল ৩৯ শতাংশ, তা ২০১৭-’১৮-তে সেটা ৩৩ শতাংশে কমে এসেছে। এর চেয়েও বেশি চিন্তার বিষয় হচ্ছে, নতুন যুদ্ধাস্ত্র কেনা হচ্ছে বাজেট বরাদ্দ অনুযায়ী, সেনার চাহিদার সঙ্গে যার সম্পর্কই নেই। ডিআরডিও-রও কড়া সমালোচনা রয়েছে জোশী কমিটি। কমিটির বক্তব্য, নজরদারি ব্যবস্থা, রোহিণী রেডার, নিরাপদ ভিডিয়ো ও ফ্যাক্স-যোগাযোগ ব্যবস্থা, বৈদ্যুতিন যুদ্ধের পোশাক তৈরির মতো ডিআরডিও-র ১৪টি মিশন-ভিত্তিক প্রকল্পর একটিও নির্দিষ্ট সময়ে শেষ হয়নি। লাভ হয়নি সময়সীমা বাড়িয়েও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy