রাজীব গাঁধীর স্মরণে। ছবি: পিটিআই।
বেঁচে থাকলে ৭৫ বছর হত রাজীব গাঁধীর। আগামিকাল তাঁর জন্মবার্ষিকী। তাঁকে সামনে রেখে এ বারে রাজ্যে রাজ্যে কংগ্রেসকে চাঙ্গা করতে চাইছেন সনিয়া গাঁধী। আজ থেকে সাত দিন রাজীবের সাত সাফল্য রোজ তুলে ধরার কথা জানালেন রাহুল। যার প্রথম দিনে ডিজিটাল দুনিয়ায় রাজীবের সাফল্য-কাহিনি শোনালেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি।
কাল সকালে বীর ভূমিতে অনুষ্ঠান, রাজ্যে-রাজ্যে নানা অনুষ্ঠান, বৃহস্পতিবার দিল্লিতে সব রাজ্যের কংগ্রেস নেতাদের হাজির করিয়ে কর্মসূচি— সপ্তাহ জুড়ে ঠাসা আয়োজন কংগ্রেসের। টিমের সদস্যরা রাহুলকে পরামর্শ দিচ্ছেন, এই সুযোগে তাঁর পদযাত্রার কর্মসূচিও শুরু করে দিতে। কংগ্রেসের অনেক ‘আইকন’ই এখন কার্যত কেড়ে নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। এমনকি, কংগ্রেস আমলের সাফল্যও। নতুন করে গা ঝাড়া দিতে এখন রাজীবের ভাবমূর্তিকেই সামনে রাখছেন সনিয়া-রাহুল। লক্ষ্য, কংগ্রেসের কর্মী-নেতাদের সঙ্গে নবীনদেরও কাছে টানা। দেশের তরুণতম প্রধানমন্ত্রীর ৭৫তম জন্মদিনকে মহা সমারোহে পালন করার জন্য প্রতি রাজ্যের কংগ্রেস নেতৃত্বকে দফায় দফায় নির্দেশ পাঠিয়েছে এআইসিসি।
কংগ্রেস নেতারা মনে করছেন, দেশকে ডিজিটাল পথে এগিয়ে দেওয়ার ‘কৃতিত্ব’ এখন একাই দাবি করছেন নরেন্দ্র মোদী! অথচ রাজীব ছিলেন ‘ডিজিটাল ভারতের জনক’। রাহুল আজ এ প্রসঙ্গে একটি ভিডিয়ো টুইট করেছেন। ‘পঁচাত্তরে রাজীব’ শীর্ষক লোগো তৈরি করে প্রতি রাজ্যে পাঠিয়েছে এআইসিসি। ওই লোগো ব্যবহার করেই আজ, মঙ্গলবার রাজ্য থেকে ব্লক স্তর পর্যন্ত রাজীবের জন্মদিন পালন করা হবে। ডিজিটাল ভারত গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী কী ভাবে উদ্যোগী হয়েছিলেন, সেই কাহিনি তুলে ধরা হবে তরুণ প্রজন্মের জন্য। তবে ব্লক স্তরে নেমে হাতে-কলমে এমন প্রচার চালানোর মতো লোকবল বাংলা-সহ অনেক রাজ্যেই কংগ্রেসের নেই। বাংলার এক কংগ্রেস নেতার কথায়, ‘‘এখন সামাজিক মাধ্যমেই অনেক বেশি মানুষের কাছে সহজে পৌঁছনো যায়। সেই পথেই রাজীবজি’র অবদানের কথা আমরা বলব।’’
রাজীবের জন্মদিন উপলক্ষে মঙ্গলবার কলকাতায় গাঁধী মূর্তি থেকে বিধান ভবন পর্যন্ত ‘তরুণদের জন্য দৌড়’ আয়োজন করেছে যুব কংগ্রেস। বিধান ভবনে ওই দৌড় শেষ হবে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র এবং এআইসিসি-র সহ-পর্যবেক্ষক বি পি সিংহের উপস্থিতিতে। তার পরে বড়বাজারে রক্তদান শিবির। যেখানে থাকার কথা লোকসভার দলনেতা অধীর চৌধুরী, বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানদের। দলের ঐক্যবদ্ধ চেহারা তুলে ধরারই চেষ্টা হচ্ছে। কর্নাটকের কংগ্রেস নেতারা প্রতিবার তামিলনাড়ুর শ্রীপেরুমবুদুরে রাজীব-হত্যার স্থল থেকে ‘রাজীব জ্যোতি’ জ্বালিয়ে নানা রাজ্য ঘুরে দিল্লি পৌঁছন। কলকাতায় সেই জ্যোতি আগমন ঘিরে বাড়তি উদ্দীপনা ছিল। দিল্লির ইন্দিরা গাঁধী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার রাজীব স্মরণের বিশেষ অনুষ্ঠানে প্রদেশ সভাপতি, পরিষদীয় নেতাদের সঙ্গে পঞ্চায়েত স্তরের পদাধিকারীদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy