ছবি: এএফপি।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতে করোনা সংক্রমণের হার অনেক কম বলে দাবি করল কেন্দ্র। একই সঙ্গে সংক্রমণ লাফিয়ে বাড়ার হারও আগের চেয়ে কমেছে বলে তাদের দাবি।
সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানায়, দেশে গত এক সপ্তাহে করোনা রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ হতে সময় লেগেছে প্রায় ৭.৫ দিন। লকডাউন শুরুর আগে আক্রান্তের সংখ্যা ৩.৪ দিনে দ্বিগুণ হচ্ছিল। সাধারণত কোনও এলাকায় চার দিনের মধ্যে রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ হলে এলাকাটিকে হটস্পট হিসাবে ঘোষণা করা হয়। মন্ত্রকের দাবি, বর্তমানে অন্তত ১৮টি রাজ্যে রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ হওয়ার হার জাতীয় গড়ের (৭.৫ দিন) চেয়ে ভাল। যদিও সেই ১৮টি রাজ্যের তালিকায় অনুপস্থিত পশ্চিমবঙ্গ।
আজ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, করোনা সংক্রমণের প্রশ্নে বিশ্বের অনেক উন্নত দেশের তুলনায় ভাল অবস্থানে রয়েছে ভারত। মন্ত্রকের পক্ষ থেকে একটি পরিসংখ্যান প্রকাশ করে বলা হয়েছে, আক্রান্তের সংখ্যা আট হাজার থেকে ষোলো হাজারে পৌঁছতে আমেরিকার সময় লেগেছে ২ দিন। ইউরোপের দেশগুলির মধ্যে ইটালি, ব্রিটেন, ফ্রান্সের লেগেছে ৪ দিন। জার্মানি, স্পেনের লেগেছে ৩ দিন। সেখানে ভারতের সময় লেগেছে প্রায় ৮ দিন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্মসচিব লব আগরওয়াল এ দিন বলেন, ‘‘লকডাউনে যে সাফল্য এসেছে, তা এই পরিসংখ্যানে চোখ রাখলেই স্পষ্ট হবে।’’
আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্তের মধ্যে উপসর্গ না থাকলেই ভয় বেশি!
এমনিতে গত চব্বিশ ঘণ্টায় ১৫৩৩ জন নতুন করোনা আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। যার ফলে দেশে মোট করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭,২৬৫। গত চব্বিশ ঘণ্টায় মারা গিয়েছেন ৩৬ জন। ফলে সব মিলিয়ে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা এখন ৫৪৩।
আরও পড়ুন: প্রথম দিনে প্রাণ পেল না শিল্প, সমস্যা বিস্তর
আজ লকডাউন আংশিক প্রত্যাহারের দিনে নিয়ম ভাঙার জন্য কেরলকে চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু পরিসংখ্যানে তারা স্বীকার করে নিয়েছে যে, আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হওয়ার জাতীয় গড় যেখানে প্রায় সাত দিনের কাছাকাছি, সেখানে সব থেকে ভাল অবস্থানে রয়েছে কেরল। ওই রাজ্যে গড়ে ৭২.২ দিনে রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ হচ্ছে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ওড়িশা। তাদের রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ হওয়ার গড় প্রায় ৩৯.৮ দিন। কুড়ি থেকে তিরিশ দিনের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হওয়ার তালিকায় রয়েছে আন্দামান নিকোবর, হরিয়ানা, অসম, উত্তরাখণ্ডের মতো ছোট রাজ্যগুলি। জাতীয় গড়ের চেয়ে বেশি, কিন্তু কুড়ি দিনের মধ্যে যে রাজ্যগুলিতে রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ হচ্ছে এমন রাজ্যগুলি হল— দিল্লি (৮.৫), কর্নাটক (৯.২), তেলঙ্গানা (৯.৪), অন্ধ্রপ্রদেশ (১০.৬), বিহার (১৬.৪)। মন্ত্রক জানিয়েছে, পুদুচেরির মাহে, কর্নাটকের কোদাগু ও উত্তরাখণ্ডের পাউরি গাড়োয়াল জেলায় গত ২৮ দিনে কোনও সংক্রমণের খবর পাওয়া যায়নি। ফলে ওই এলাকাগুলি সংক্রমণ মুক্ত বলে ঘোষণা করা হয়েছে। অন্য দিকে গোয়ায় যে ক’জন করোনা সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, তাঁরা সকলেই সুস্থ হয়ে ফিরে গিয়েছেন।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy