অতীত: ‘পুণ্য দিনে’ পুরীতে অজস্র ভক্ত সমাগম হত। —ফাইল চিত্র।
এমন দিনে সাধারণত ভক্তের ঢল উপচে পড়ে পুরীতে। এ বার কোভিড-আতঙ্কের আবহে সেই নিয়মেও ছেদ পড়তে চলেছে।
আগামী, শুক্রবার স্নানপূর্ণিমায় জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা। মন্দিরের ভিতরকাঠে রত্নসিংহাসন থেকে সে-দিন প্রভুর বেরিয়ে আসার দিন। মন্দিরে আনন্দবাজারের স্নানমণ্ডপে তিনি আসীন হবেন। দয়িতাপতিদের মাধ্যমে ১০৮ ঘড়া জল ঢালা হবে মাথায়। মন্দিরের বাইরে থেকেও এ দৃশ্য সাধারণত দেখা যায়। ‘পুণ্য দিনে’ পুরীতে চলে আসেন অজস্র ভক্ত। সে কথা মাথায় রেখে মঙ্গলবারই স্নানযাত্রার সময়ে পুরীতে ১৪৪ ধারা ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। জগন্নাথ মন্দিরে বিভিন্ন গোত্রের সেবায়েতদের সমিতি ছত্রিশ নিজোগের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকের পরই পুরীর কালেক্টর বলওয়ন্ত সিংহ বিষয়টি ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, ‘‘স্নানযাত্রার আগের দিন ৪ জুন রাত দশটা থেকে ৬ জুন দুপুর ২টো পর্যন্ত ১৪৪ ধারাজনিত বিধিনিধেষ পুরীতে জারি থাকবে। শ্রীমন্দিরের সিংহদ্বারের কাছে প্রাচীরের সামনে ভক্তদের স্নানযাত্রার দৃশ্য দেখার সময় গা ঘেঁষাঘেঁষি ঠেকানো হবে।’’ তবে প্রভুর স্নানের দৃশ্যটি প্রচারমাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচারের কথা। একই ভাবে ভক্তসমাগম ছাড়াই ২৩ জুন রথযাত্রার অনুষ্ঠান সম্পন্ন করার ব্যাপারেও ওড়িশা সরকারের কাছে প্রস্তাব দিয়েছে মন্দিরের ম্যানেজিং কমিটি।
রথযাত্রার দিনটিতে ভক্তেরা রথের কাছাকাছি যাওয়ার অনুমতি পাবেন কি না, সে-বিষয়ে এখনই সরাসরি ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ বলেনি নবীন পট্টনায়কের প্রশাসন। তবে স্নানযাত্রার বিধিনিষেধে রথযাত্রাতেও সেবায়েত এবং প্রশাসনের টিম ছাড়া কেউ কাছে ঘেঁষতে পারবেন না-বলেই আভাস মিলছে। দেশ জুড়ে ধীরে ধীরে লকডাউন শিথিল করে ‘আনলক’-এর মেজাজ দানা বাঁধলেও পুরীর মন্দির প্রশাসন জানিয়ে দিয়েছে, ৫ জুলাইয়ের আগে শ্রীমন্দিরে ভক্তদের প্রবেশের প্রশ্ন নেই। পুরীতে এখন ট্রেন না-দিতেও রেল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছে ওড়িশা সরকার। স্নানযাত্রার আয়োজনে নানা বিধিনিষেধে ভক্তশূন্য রথযাত্রার সম্ভাবনাই প্রকট হচ্ছে বলে মনে করছেন মন্দিরের সেবায়েতদের বড় অংশ।
আরও পড়ুন: ক্লাসে বিঘ্ন, আত্মহত্যা পড়ুয়ার
আরও পড়ুন: চিনা অ্যাপ সরাতে গিয়ে ফোনে জুজু ঢুকে পড়ছে না তো?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy