Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus Lockdown

লকডাউনে ছাড় কত, চিন্তা চিনকে পেরিয়ে

আগামিকাল নয়া লকডাউনের নিয়ম-কানুন জানাতে পারে কেন্দ্র। তবে এ বার আগের চেয়ে বেশি ছাড় থাকবে বলেই আশা করা হচ্ছে। 

ছবি পিটিআই।

ছবি পিটিআই।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৬ মে ২০২০ ০৪:২৭
Share: Save:

আন্তর্জাতিক সমীক্ষায় মোট করোনা সংক্রমণের নিরিখে চিনকে ছাপিয়ে গেল ভারত।

আজ সকালে স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছিল, দেশে মোট করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা ৮১,৯৭০। কিন্তু দিনভর নতুন সংক্রমণের হিসেব করে রাতে আন্তর্জাতিক সমীক্ষা সূত্রের দাবি, সংখ্যাটা ৮৫,৭৬০। চিনের মোট সংক্রমণ সেখানে ৮২,৯৩৩।

এই পরিসংখ্যান উদ্বেগ বাড়াতে পারে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যকর্তাদের। আজও স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সাংবাদিক বৈঠক হয়নি। কিন্তু কেন্দ্রের পরিসংখ্যানই বলছে, গত এক দিনে দেশে ৩৯৬৭ জন সংক্রমিত হয়েছেন। আরও ১০০ জন মারা গিয়েছেন। কেন্দ্রের অবশ্য বক্তব্য, আজ ১৫টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে নতুন সংক্রমণের খবর মেলেনি। তা সত্ত্বেও কোনও রাজ্যই পুরোপুরি লকডাউন তুলে নিতে বলেনি।

আরও পড়ুন: করোনার ‘সুযোগেই’ বদল কৃষিপণ্য আইন

আগামী সোমবার থেকে চতুর্থ দফার লকডাউনে কোন রাজ্য কতটা ছাড় চাইছে, তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীদের মতামত জানাতে বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় সূত্রের দাবি, তাঁদের মতামত বিশ্লেষণ করে আগামিকাল নয়া লকডাউনের নিয়ম-কানুন জানাতে পারে কেন্দ্র। তবে এ বার আগের চেয়ে বেশি ছাড় থাকবে বলেই আশা করা হচ্ছে।

সূত্রের দাবি, পশ্চিমবঙ্গ, পঞ্জাব, অসম, মহারাষ্ট্র, তেলঙ্গানা, দিল্লির মতো রাজ্য লকডাউন বাড়ানোর সুপারিশ করেছে। ইতিমধ্যেই ৩১ মে পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করেছে মিজোরাম। মহারাষ্ট্রের মুম্বই, পুণে, মালেগাঁওয়ের মতো অধিক সংক্রমিত এলাকায় গোটা মে মাস লকডাউন থাকছে। তবে পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি, পঞ্জাবের মতো কিছু রাজ্য গ্রিন জ়োনে আর্থিক কর্মকাণ্ডে গতি আনতে গণ-পরিবহণে (বিশেষত অটো, ট্যাক্সি, ই-রিক্সা চলাচলে) বাড়তি ছাড় চেয়েছে। বেশ কিছু রাজ্যের দাবি, রেড, অরেঞ্জ ও গ্রিন জ়োন তাদেরই চিহ্নিত করতে দেওয়া হোক। এতে প্রয়োজনে কোনও এলাকাকে দ্রুত চিহ্নিত করতে হলে কেন্দ্রের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হবে না। যদিও স্বাস্থ্য মন্ত্রকের মত, এতে হিতে বিপরীত হতে পারে।

বস্তুত, আজই সব রাজ্যকে চিঠি দিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভল্লা বলেছেন, কোনও পরিযায়ী শ্রমিককে যাতে হেঁটে (রাস্তা বা রেললাইন ধরে) বাড়ি ফিরতে না-হয়, তা রাজ্যগুলি নিশ্চিত করুক। শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন-সহ কেন্দ্রের বন্দোবস্তের বিষয়ে রাজ্যগুলিই তাঁদের বোঝাক। প্রশ্ন উঠেছে, পরিযায়ী শ্রমিকদের ভোগান্তির দায় কি রাজ্যের ঘাড়েই ঠেলে দেওয়া হচ্ছে? কেন্দ্র পাল্টা বলছে, বিহার, তামিলনাড়ু, কর্নাটক তো ট্রেন চলাচলেরও বিরোধী। নীতীশ কুমার সরকারের আশঙ্কা, ট্রেন চললে বিশেষত গ্রামে করোনা ছড়াতে পারে। তাই ট্রেন চলুক জুনের পর থেকে।

আজ প্রকাশিত নয়া স্বাস্থ্যবিধিতে কেন্দ্র বলেছে, সংক্রমণ এড়ানো বা সতর্ক হওয়ার প্রশিক্ষণ থাকতেই হবে চিকিৎসাকর্মীদের। সেনাবাহিনীর কায়দায় তাঁদেরও ছোট-ছোট জোট বেঁধে নজর রাখতে হবে, সঙ্গীরা সমস্ত স্বাস্থ্যবিধি মানছেন কি না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Lockdown India China
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE