নয়াদিল্লিতে ভোট প্রচারে মোদী। ছবি: পিটিআই।
কেন্দ্রীয় বাজেটে কী আছে আর কী নেই, সে ধাঁধা এখনও দূর হয়নি অনেকের। দিল্লির জন্য বাজেটে ‘কিছু নেই’ বলে অভিযোগ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। প্রধানমন্ত্রী আজ দিল্লির ভোট প্রচারে গিয়ে বাজেট থেকে দু’ডজনের মতো বিষয় তুলে আনলেন। বোঝাতে চাইলেন, দিল্লির জন্যও ভূরি ভূরি ঘোষণা আছে বাজেটে। যুবক, ব্যবসায়ী, মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত, গরিব পরিবারের জন্য সুখবর আছে।
আয়করের নতুন হারে বাড়তি সুবিধা এখনও তেমন খুঁজে পাচ্ছেন না আমজনতা। প্রধানমন্ত্রী কিন্তু দাবি করলেন, মধ্যবিত্তের সঞ্চয় বাড়াতেই কর কাঠামো সরল করা হয়েছে। বছরে সাড়ে ৭ লক্ষ টাকা আয়ের উপরে কর কমে অর্ধেক হয়েছে। ১৫ লক্ষ টাকা আয়ের ব্যক্তি নতুন ব্যবস্থায় বাঁচাতে পারবেন প্রায় ৮০ হাজার টাকা। মোদী বলেন, ‘‘আমাদের সরকার সব সময় সৎ করদাতাদের সম্মান করে।’’ প্রধানমন্ত্রী বারবার বোঝাতে চাইলেন, কোন কোন ক্ষেত্রে রোজগার বৃদ্ধির হদিস আছে। তবে কত জনকে রোজগার দেওয়া হবে, সে ব্যাপারে নির্মলার মতো তিনিও অঙ্ক শোনাননি।
মোদী বললেন, বাজেটে পরিকাঠামো, শিল্প, প্রযুক্তি, বস্ত্র, স্টার্ট-আপের মতো ক্ষেত্রে যা ঘোষণা করা হয়েছে, তাতে যুবকদের রোজগার বাড়বে। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বিজেপির ‘পুরনো ঘনিষ্ঠতা’র কথা স্মরণ করিয়ে বোঝান, কী ভাবে তাঁদেরও সুরাহা দেওয়া হয়েছে বাজেটে। মোদীর অভিযোগ, অনেক প্রকল্পের সুফল দিল্লিবাসীকে পেতে দিচ্ছেন না কেজরীবাল। মোদীর কথায়: ‘‘যত দিন এই ভদ্রলোক বসে থাকবেন, তত দিন একের পর এক প্রকল্প আটকাবেন। রাজনীতি ছাড়া আর কিছু জানেন না। মুক্তি পাওয়ার একটাই রাস্তা, দিল্লিতে বিজেপির আগমন।’’ গুণ গাইলেন নীতীশ কুমারেরও। সদ্য গতকাল দিল্লিতে প্রচারে যিনি অভিযোগ করে গিয়েছেন, পটনার বাস দিল্লিতে প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছেন না কেজরী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy