জ্বলছে তিনসুকিয়ার বাঘজানের সেই কূপ। মঙ্গলবার। িপটিআই
বিস্ফোরণের পর থেকে লাগাতার গ্যাস বেরোচ্ছিল দু’সপ্তাহ ধরে। তিনসুকিয়ার বাঘজানের সেই কূপ মেরামতি শুরু হওয়ার কথা ছিল আজ। গত কাল এসেছেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞেরা। যন্ত্রপাতি এনে প্রস্তুতিও সেরে ফেলেছিল অয়েল ইন্ডিয়া লিমিটেড এবং ওএনজিসি। কিন্তু মেরামতি শুরুর আগেই আগুন লেগে গেল কূপে। গত কাল থেকে বৃষ্টি হয়নি। ফলে শুকনো হাওয়ায় কিছু ক্ষণের মধ্যেই আগুন বিধ্বংসী আকার নেয়। লেলিহান শিখা বহু উঁচু পর্যন্ত ওঠে। আশপাশের সব গাছপালা, কয়েকটি বাড়ি ঝলসে যায়। জ্বলতে থাকে খেত। এলাকার ৬৫০টি পরিবারকে আগেই সুরক্ষিত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আশপাশের বাড়িতে আগুন লাগায় বাকিরাও এলাকা ছেড়ে পালান।
পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের সঙ্গে টেলিফোনে এ নিয়ে কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল। বায়ুসেনা ইতিমধ্যেই তাদের তিনটি দমকল ইঞ্জিন পাঠিয়েছে। অয়েল ইন্ডিয়ার তরফে এ দিন বিকেলে জানানো হয়, ঘটনাস্থলের আশপাশে তীব্র বিক্ষোভ চলছে। তাই আগুন নেভানোর কাজ করা যাচ্ছে না। রাজ্যের মুখ্যসচিবকে অবিলম্বে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের আর্জি জানায় তারা। অয়েল ইন্ডিয়া এবং ওএনজিসি-র কর্মী ও সিঙ্গাপুর থেকে আসা বিশেষজ্ঞদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
অয়েল ইন্ডিয়ার এক মুখপাত্র জানান, এই প্রাকৃতিক গ্যাস কূপটি সংস্থার সবচেয়ে ভাল ভাণ্ডারগুলির একটি। ২৭ মে কূপ বন্ধ করে রিজার্ভার রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলছিল। সেই সময়েই আচমকা বন্ধ কূপে প্রবল বেগে গ্যাস চলে আসে। কংক্রিটের আস্তরণ ফেটে গ্যাস ৪২০০ পিএসআই বেগে নির্গত হতে থাকে। গ্যাস বেরোনোর ফলে আশপাশের গ্রামে চার জনের মৃত্যু হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমের একাংশে দাবি করেছিল। তা ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy