কারও এইচআইভি সংক্রমণ ধরা পড়লে সেই তথ্য গোপন রাখাটাই নিয়ম। গোপনতা রক্ষা করার সেই নিয়ম লঙ্ঘিত হলে এ বার থেকে অভিযুক্তের সর্বোচ্চ দু’বছরের জেল এবং এক লক্ষ টাকা জরিমানার নিদান দিল কেন্দ্রীয় সরকার।
সরকারি, বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা না-করে রোগীকে ফেলে রাখা, সংক্রমণ ধরা পড়লে একঘরে করে রাখা, চাকরি ক্ষেত্রে বৈষম্যের হাজারো নজির আকছার সামনে আসে। এইআইভি আক্রান্তের পরিচয় প্রকাশিত হয়ে গেলে সেই রোগীরা সামাজিক ভাবে পদে পদে হেনস্থার শিকার হন। এইচআইভি আক্রান্তদের হেনস্থা বন্ধে সম্প্রতি এইচআইভি (প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ) বিল, ২০১৭ পাশ হয়েছে সংসদে। সেই বিলে বলা হয়েছে, জোর করে কাউকেই এইচআইভি পরীক্ষায় বাধ্য করানো যাবে না। রোগীদের নাম প্রকাশ করে তাঁদের হেনস্থা করলে জেল ও জরিমানার সংস্থান রাখা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় তথ্য মন্ত্রক সূত্রে শুক্রবার বলা হয়, এখন সরকারি হাসপাতালে এইআইভি আক্রান্তের চিকিৎসা নিখরচাতেই হয়। চিকিৎসা ক্ষেত্রে হোক বা সমাজের অন্য ক্ষেত্রে, এইচআইভি পজিটিভ-রা যাতে কোনও রকম বৈষম্যের শিকার না-হন, সেটা দেখতে হবে বলে আগেই সরকারি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই বিলে এক ধাপ এগিয়ে চিকিৎসার বিষয়টিকে রোগীর আইনি অধিকারের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এই বিলে এইচআইভি পজিটিভ ব্যক্তিদের সম্পত্তির অধিকারকেও সুরক্ষিত করার কথা বলা হয়েছে।
এইচআইভি রোগীদের সমান অধিকারের জন্য বিল পাশের পরে এইচআইভি পজিটিভদের বিভিন্ন সংগঠন এই বিষয়ে প্রচারে নামছে। বিভিন্ন সংগঠনের বক্তব্য, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সরকারি নির্দেশ মানা হয় না। নতুন বিল পাশের কথাও জানেন না সাধারণ মানুষ। নতুন বিল নিয়ে সরকারি প্রচার জরুরি বলে মনে করে ওই সব সংগঠন। এইচআইভি পজিটিভদের একটি সংগঠনের তরফে ক্ষিতীশ মণ্ডল বলেন, ‘‘বিলে বলা হয়েছে, চিকিৎসার জন্য সরকারের পক্ষে যতটা দেওয়া সম্ভব, সেটা তারা দেবে। এই জায়গাটাতেই আপত্তি রয়েছে। কারণ এই ফাঁক গলে সরকার দায়দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy