রাজনৈতিক চাপের মুখে খোলা চ্যালেঞ্জ নির্বাচন কমিশনের। তাদের চ্যালেঞ্জ, মে মাসেরগোড়ায় দশদিনের মধ্যে ভোটযন্ত্র বা ইভিএম হ্যাক করে দেখান।
এরজন্য শুধু রাজনৈতিক দল নয়, রীতিমতো প্রযুক্তি, বিজ্ঞানের সঙ্গে যুক্ত যে কোনও ব্যক্তিকে খোলা আমন্ত্রণ দিয়েছে কমিশন। যারা ‘এথিক্যাল হ্যাকার’ তাদেরকেও হ্যাকাথনের মাধ্যমে এই চ্যালেঞ্জ দেওয়া হয়েছে। ক’দিন আগেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেছিলেন, তাঁর কাছে ইভিএম দিলে ৭২ ঘন্টার মধ্যে প্রমাণ করে দেবেন ভোটযন্ত্রে কারচুপি সম্ভব। আজ কমিশনের পাল্টা চ্যালেঞ্জ, দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের দফতরেই প্রমাণ হোক।
উত্তরপ্রদেশের ভোটের পরেই মায়াবতী প্রথম অভিযোগ করেন, ভোটযন্ত্রে কারচুপি করে অধিকাংশ ভোট নিজের ঝুলিতে পুরেছে বিজেপি।
তারপর এই ইস্যুতে যোগ দেয় বাকি বিরোধী দলও। কংগ্রেস, তৃণমূল, বাম-সহ ১৩ টি দল চলতি সপ্তাহেই কমিশনের কাছে গিয়ে উদ্বেগ জানায়। আজ সনিয়া-রাহুল গাঁধীরাও রাষ্ট্রপতির কাছে গিয়ে একই নালিশ করেন। কংগ্রেসের মতে, মধ্যপ্রদেশে যেভাবে দেখা গিয়েছে সব ভোটই বিজেপিতে যাচ্ছে, তারপর থেকেই সন্দেহ দানা বেধেছে। কমিশনের উচিত সব দলকে ডেকে এর সুরাহা করা। কেজরীবালদের দল ব্যালট পেপারে ফের ভোট শুরুর দাবি জানাতে থাকে।
কমিশন এরপর তিন দফা সাফাই দিয়ে পাল্টা দাবি করেছে, কোনও ভাবেই ইভিএমে কারচুপি সম্ভব নয়।কিন্তু নিজেদের বিশ্বাসযোগ্যতা কায়েম রাখতে এ বারে কমিশনের দরজা খুলে দেওয়া হল সকলের জন্য। কংগ্রেসের নেতা পি চিদম্বরম মনে করেন, যখন ইভিএম নিয়ে একটি প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, তখন সেটি কী করে দূর করা যায় তা খতিয়ে দেখা উচিত। তা না করে কমিশন যেভাবে পাল্টা আক্রমণাত্মক হচ্ছে, সেটি প্রতিষ্ঠানকেই লঘু করে। কমিশনের সূত্র বলছে, যখন হ্যাক করা সম্ভবই নয়,তখন কী করে তা প্রকাশ করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy