বাদল চৌধুরী। —ফাইল চিত্র।
দিনে শুনানি হল তাঁর আগাম জামিনের আর্জি নিয়ে। তখনও নিখোঁজ তিনি। রাতে জানা গেল, আজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দুর্নীতিতে অভিযুক্ত ত্রিপুরার বাম জমানার পূর্তমন্ত্রী বাদল চৌধুরী। ১৬ তারিখ রাত থেকে পুলিশ হন্যে হয়ে খুঁজছিল তাঁকে। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, এ দিন রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ শহরের আইএলএস হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তিনি। রয়েছেন আইসিইউয়ে। বাদলবাবুকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিক অজয়কুমার দাস। পুলিশের বিশাল বাহিনী ওই হাসপাতাল ঘিরে রেখেছে। মানিক সরকার-সহ বাম নেতারা সেখানে গিয়েছেন।
হাইকোর্টে আজ অবকাশকালীন বেঞ্চে বাদল চৌধুরীর আগাম জামিনের শুনানি হয়। আগামিকাল বিচারপতি অরিন্দম লোধ রায় দেবেন বলে আইনজীবীরা জানিয়েছেন। আগাম জামিন নিয়ে রায়দান না-হওয়া পর্যন্ত পুলিশ যাতে বাদলবাবুকে গ্রেফতার করতে না-পারে, তার জন্য অন্তর্বর্তী জামিনের আর্জি জানিয়েছিলেন তাঁর আইনজীবীরা। তবে বিচারপতি তা নিয়ে স্পষ্ট কোনও নির্দেশ দেননি।
বাদলবাবুর তরফে আজ রাজ্যের প্রাক্তন অ্যাডভোকেট-জেনারেল বিকাশ ভট্টাচার্য সওয়াল করতে গিয়ে বলেন, ‘‘বাদল চৌধুরী পূর্তমন্ত্রী থাকাকালীন খরচ হওয়া অর্থের মঞ্জুরিতে বিধানসভা এবং পাবলিক একাউন্টস কমিটির অনুমোদন ছিল। ফলে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগই ধোপে টেকে না। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা দুপক্ষের সওয়াল চলে। বিকাশবাবুর যুক্তি, ‘ক্রিমিনালিটি’-র কোনও অভিযোগ বাদলবাবুর বিরুদ্ধে আনেনি সরকার। তাঁকে আগাম জামিন দেওয়া হোক। পাশাপাশি, রাজ্যের বর্তমান অ্যাডভোকেট-জেনারেল অরুণকান্তি ভৌমিক সংবাদমাধ্যমে জানানন, তদন্তের স্বার্থে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞসাবাদ করার জন্যই প্রাক্তন মন্ত্রীর আগাম জামিনের বিরোধিতা করা হচ্ছে। তাঁর যুক্তি, বর্তমানে আর্থিক দুর্নীতির মামলায় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে জড়িত ব্যক্তিদের আগাম জামিন দেওয়া যায় না।
গত পাঁচ দিন ধরে সারা রাজ্যে বাদল চৌধুরীকে হন্যে হয়ে খুঁজছিল পুলিশ। শেষ পর্যন্ত আগরতলা পুর নিগমের এক সাফাইকর্মীর সাহায্য নিয়েছে তারা। আজ থানায় ডেকে পুলিশ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy