— ফাইল চিত্র।
এক বছরে সারের দাম অন্তত ২৫ শতাংশ বেড়েছে। ডিজেলের দাম বেড়েছে ৩০ শতাংশ। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে সেচের জন্য পাম্প চালানোর খরচ। কিন্তু এ সব হিসেবের মধ্যে না ধরেই মোদী সরকার রবি শস্যের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি) ঘোষণা করেছে বলে অভিযোগ তুলল কৃষক সংগঠনগুলি।
দু’দিন আগেই গম, যব, ছোলা, মুসুর, সর্ষের মতো রবি ফসলের এমএসপি ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী রাধামোহন সিংহ। তাঁর বক্তব্য, বিভিন্ন ক্ষেত্রে চাষের খরচের দেড় থেকে দ্বিগুণ, এমনকি তারও বেশি এমএসপি ঠিক হয়েছে। কিন্তু কৃষক সভার সাধারণ সম্পাদক হান্নান মোল্লা বলেন, ‘‘এই মরসুমে চাষের সার্বিক খরচ কত, তার হিসেবই তো সরকার প্রকাশ করেনি! কৃষিমন্ত্রী যে খরচের কথা বলছেন, তার মধ্যে সব খরচ ধরা নেই। অথচ বিজেপিই ২০১৪-র ভোটের ইস্তাহারে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, এম এস স্বামীনাথন কমিশনের সুপারিশ মেনে চাষের খরচের দেড় গুণ এমএসপি দেওয়া হবে।’’
কেন্দ্র গমের এমএসপি ঠিক করেছে কুইন্টাল প্রতি ১৮৪০ টাকা। কৃষি মন্ত্রকের দাবি, গম চাষের খরচ প্রতি কুইন্টালে ৮৬৬ টাকা। কিন্তু কৃষক সংগঠনগুলির দাবি, এ বছর গম চাষের খরচ প্রতি কুইন্টালে ২০৭২ টাকা। ফলে খরচের থেকেও কুইন্টালে ২৩২ টাকা কম মিলবে।
কৃষকদের এই ক্ষোভকে উস্কে দিতে চাইছে কংগ্রেস। কংগ্রেস নেতা আহমেদ পটেল বলেন, ‘‘গত এক বছরে ডিজেলের দাম ৩০ শতাংশের বেশি বেড়েছে। ফসফেট সারের দাম ৩০ শতাংশ ও পটাশিয়াম সারের দাম ২৭ শতাংশ বেড়েছে। অথচ রবি ফসলের গড় দাম বেড়েছে মাত্র ৬.১ শতাংশ।’’ কৃষিমন্ত্রীর পাল্টা যুক্তি, ‘‘চাষের সব খরচ ধরেছি। বাড়ির লোক জমিতে খাটলে তার শ্রমের মূল্যও ধরা রয়েছে।’’
তেলের দাম কমানোর পিছনে সরকারের অন্যতম উদ্দেশ্য, চাষিদের সুরাহা দেওয়া। কারণ, ডিজেলের দাম বৃদ্ধিতে রবি ফসলের সেচের খরচ বেড়ে যাবে। তবে চাষি সংগঠনের প্রশ্ন, সরকারের দাবি সত্যি হলে খরচের হিসেব কেন প্রকাশ হচ্ছে না?
সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, ‘‘নরেন্দ্র মোদী চাষিদের আয় দ্বিগুণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু গত চার বছরে চাষিদের আয় কমেছে। সেই কারণে তাঁরা এখন রাস্তায় নামছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy