এখানেই ভেঙে পড়ে বায়ুসেনার বিমান এএন ৩২।
ঘন অরণ্যের মধ্যে অনেকটা জায়গা জুড়ে পুড়ে যাওয়া দাগটা স্পষ্ট। ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বিমানের ধ্বংসাবশেষ। অরুণাচল প্রদেশের সিয়াং জেলার দুর্গম পার্বত্য এলাকা পেয়াম সার্কেলে বায়ুসেনার নিখোঁজ বিমান এএন ৩২-র ধ্বংসাবশেষের প্রথম ছবি প্রকাশ্যে এল। অরুণাচল প্রদেশের এক সরকারি সূত্র থেকে সেই ছবি শেয়ার করা হয়েছে। ছবি দেখে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিমানটি ভেঙে পড়ার পরই আগুন জ্বলে গিয়েছিল। যার জেরে আশপাশের গাছগুলো পুরো ঝলসে গিয়েছে।
ঘন অরণ্যে ঢাকা অরুণাচল প্রদেশের এই পার্বত্য এলাকায় মঙ্গলবার তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছিল বায়ুসেনার এমআই-১৭ হেলিকপ্টার। তখনই অরণ্যের বিশাল পুড়ে যাওয়া অংশটি চোখে পড়ে সেনাদের। ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিমানের ধ্বংসাবশেষও দেখতে পান তাঁরা। তার পরই বায়ুসেনার তরফে এক বিবৃতি জারি করে সুনিশ্চিত করা হয়, এটাই সেই নিখোঁজ হয়ে যাওয়া বিমানের ধ্বংসাবশেষ।
বায়ুসেনা সূত্রে জানানো হয়েছে, ঘন অরণ্য এবং দুর্গম এলাকা হওয়ায় দুর্ঘটনাস্থলে যেতে সমস্যা হচ্ছে। হেলিকপ্টার নামানোর জায়গা নেই সেখানে। বুধবার সকাল থেকেই উদ্ধারকাজ চালানোর কাজ শুরু হয়েছে। দুর্ঘটনাস্থলের কাছাকাছি একটি জায়গা খুঁজে পাওয়া গিয়েছে যেখানে হেলিকপ্টার নামানো সম্ভব বলে বায়ু সেনা সূত্রে খবর। বুধবার সকালে সেনাদের ৮-১০ জনের একটি উদ্ধারকারী দলকে এয়ার ড্রপ করা হয়েছে। হেঁটে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর চেষ্টা করছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: বন্ধ স্কুল, কলেজ, তৈরি সেনা, কাল ‘বায়ু’ আছড়ে পড়বে গুজরাতে
সিয়াং জেলা প্রশাসন স্থানীয় পর্বতারোহীদেরও উদ্ধারকাজে লাগিয়েছে। অরুণাচল প্রদেশের সরকারি সূত্রে খবর, উদ্ধার চালানোর জন্য পশ্চিম সিয়াংয়ের কাইয়াংয়ে একটি বেস ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে। চিকিত্সকদের একটি দল পাঠানো হয়েছে সেখানে। সহযোগিতা করার জন্য একটি ব্যাক-আপ টিমও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে চিকিত্সা পরিষেবার জন্য যোরহাটের সেনা হাসপাতালকেও প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে বলে বায়ুসেনা সূত্রে খবর।
গত ৩ জুন ১৩ জনকে নিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায় বায়ুসেনার এএন ৩২ বিমান। অসমের যোরহাট থেকে উড়েছিল বিমানটি। অরুণাচলের মেনচুকাতে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওড়ার কিছু ক্ষণের মধ্যেই বিমানটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তার পর প্রায় এক সপ্তাহ কোনও হদিশ মেলেনি বিমানটির। মঙ্গলবার অরুণাচলের লিপো থেকে ১৫-২০ কিলোমিটার উত্তরে বিমানটির ধ্বংসাবশেষ মেলে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy