—ফাইল চিত্র।
ছাব্বিশ ঘণ্টার আন্দোলনেই মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সরকারকে ঝাঁকুনি দিয়ে এসেছেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা। আজ সোমবার, সংসদের অধিবেশন শুরুর আগেই প্রিয়ঙ্কার সমর্থনে ঝাঁপাল কংগ্রেস। তাঁকে সভাপতি করার দাবিও আরও জোরালো হল কংগ্রেসে।
সোনভদ্রে গণহত্যার ঘটনায় আদিবাসীদের পাশে দাঁড়াতে সেখানে যাচ্ছিলেন প্রিয়ঙ্কা। যোগীর প্রশাসন মাঝপথে আটক করে তাঁকে। শেষ পর্যন্ত পরিবারের সঙ্গে দেখা করে তবেই ফেরেন তিনি। এর পরে চাপে পড়ে গত কাল খোদ মুখ্যমন্ত্রী যোগীকেও ছুটতে হয় সোনভদ্রে। আজ সংসদের অধিবেশন শুরুর আগেই কংগ্রেসের সাংসদরা গাঁধী মূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ দেখান। প্রিয়ঙ্কাকে ‘গ্রেফতার’-এর প্রতিবাদে স্লোগান ওঠে। সংসদেও হল্লা হয়।
রাহুল গাঁধী যখন সভাপতি পদ থেকে ইস্তফার ঘোষণা করেছেন, তখন প্রিয়ঙ্কার এই ঝাঁঝ দেখে কংগ্রেসের অনেকেই তাঁকে সভাপতি করার দাবি তুলছেন। সেই তালিকায় যোগ হল প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী নটবর সিংহের নামও। তাঁরও মত— প্রিয়ঙ্কাকেই সভাপতি করা হোক। গাঁধী পরিবারের বাইরে কাউকে সভাপতি করলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভেঙে যাবে কংগ্রেস। যদিও ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকেই রাহুল গাঁধী প্রিয়ঙ্কাকে সভাপতি পদে বিবেচনা না-করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। নটবরের কথায়, সে ক্ষেত্রে দলের স্বার্থে সিদ্ধান্ত বদল করতে হবে গাঁধী পরিবারকে। তবে শতাব্দী প্রাচীন দলটি এত দিন ধরে কোনও সভাপতি বাছতে না-পারায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন নটবর।
এআইসিসি-র এক সচিব ক্রিস্টোফার তিলক রাহুল গাঁধীকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন, দলে এখন যাঁরা সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, তাঁরা নবীনদের মত শুনবেন না। কারণ, ওয়ার্কিং কমিটির সিংহ ভাগই প্রবীণ নেতা। কংগ্রেসের নবীন নেতাদের একটি অংশ ইতিমধ্যেই আহমেদ পটেলদের নেতৃত্বে প্রবীণ গোষ্ঠীকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রক্রিয়া থেকে দূরে থাকতে বলেছেন। দলের মধ্যে নবীন ও প্রবীণদের এই টানাপড়েন আজ সংসদ ভবন চত্বরেও চোখে পড়ে। গৌরব গগৈরা যখন প্রিয়ঙ্কাকে গ্রেফতারির বিরুদ্ধে সরব হচ্ছেন, সেই সময় প্রবীণ নেতা গুলাম নবি আজাদ তাঁদের স্লোগান বদলাতে বলেন। তিনি পরামর্শ দেন, গরিবদের উপর বিজেপির আক্রমণকেই প্রতিবাদের হাতিয়ার করতে।
এরই মধ্যে গজানন্দ হোসালে নামে পুণের এক ২৮ বছরের ইঞ্জিনিয়ার দাবি করেছেন— রাহুল গাঁধী যখন ইস্তফায় অনড়, সভাপতি হয়ে তিনি কংগ্রেসকে পুনরুজ্জীবিত করতে পারেন। যদিও তিনি কংগ্রেস বা কোনও দলের সদস্য নন। কিন্তু কংগ্রেসের প্রাথমিক সদস্যপদ নিয়ে দলের হাল ধরতে রাজি।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy