ওড়িশার কালাহান্ডির দানা মাঝি হাসপাতালের কাছে কোনও সহায়তা না পেয়ে স্ত্রীর মৃতদেহ কাঁধে চাপিয়ে বাড়ির পথে রওনা দিয়েছিলেন। বিহারের কাটিহারের চিন্টু শা (২১)-র পরিবারের সদস্যদেরও একই অবস্থা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনও সাহায্য না করায় প্লাস্টিকে মোড়া দেহ নিয়ে ভাগলপুরের পথে হাঁটতে শুরু করেন তাঁরা। তবে দু’কিলোমিটার যাওয়ার পরেই ডিএমের হস্তক্ষেপে অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা হয়। কিন্তু এই ‘দু’কিলোমিটার হাঁটার’ ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ায় মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেন। স্বাস্থ্য সচিবের কাছে রিপোর্টও চেয়েছেন তিনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৪ সেপ্টেম্বর গঙ্গায় তলিয়ে যায় চিন্টু। রবিবার কাটিহারের কুরসেলা থানার পুলিশ পচাগলা দেহটি উদ্ধার করে। কাটিহার সরকারি হাসপাতালে দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা দেহটির ময়নাতদন্তের জন্য ভাগলপুরের জওহরলাল নেহরু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। কিন্তু কোনও অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করতে তারা অস্বীকার করে। নিরুপায় পরিবারের সদস্যরা প্লাস্টিকে মোড়া দেহটি নিয়ে পায়ে হেঁটে ভাগলপুরের দিকে রওনা দেন। কাটিহারের জেলাশাসক লালনজি বলেন, ‘‘ওঁরা দু’কিলোমিটার চলে যাওয়ার পরে আমি বিষয়টি জানতে পারি। সঙ্গে সঙ্গে অ্যাম্বুল্যান্স পাঠানোর ব্যবস্থা করি।’’
গত কাল রাত থেকে বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর শুরু করেন। জেলাশাসক জানান, পুরো ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে কাটিহারের সিভিল সার্জেন শ্যামকুমার ঝা বলেন, ‘‘মৃতদেহ পাঠানোর ব্যবস্থা করার দায়িত্ব পুলিশের। দেহটি বিকৃত হয়ে যাওয়ায় কেউই তা বহন করতে রাজি ছিল না বলে জানতে পেরেছি। এ ছাড়াও, রবিবার সন্ধ্যায় দেহটি আসায় সেদিন ময়নাতদন্ত করা যায়নি। সে কারণেই নিয়ম মেনে পরের দিন তা ভাগলপুরে পাঠানো হয়েছিল।’’ তবে পুলিশ গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তারা জানিয়েছে, দেহটি রবিবার দুপুরেই মর্গে পাঠানো হয়েছিল। গাড়ির ব্যবস্থা কেন তারা করেনি তা নিয়ে অবশ্য পুলিশ কর্তারা নীরব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy