Advertisement
০৬ মে ২০২৪
Coronavirus

গুরুতর রোগীকে গ্লুকোকর্টিকয়েডস

লাগাতার সংক্রমণ বাড়লেও, আজ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন দাবি করেন, দেশে মৃত্যুহার মাত্র ৩ শতাংশ।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৮ জুন ২০২০ ০১:২৭
Share: Save:

শরীরে দ্রুত অক্সিজেন কমতে থাকলে কিংবা করোনা সংক্রমণে একাধিক অঙ্গ বিকলের মতো পরিস্থিতি তৈরি হলে তিন থেকে পাঁচ দিনের জন্য গ্লুকোকর্টিকয়েডস ওষুধ ব্যবহারে ছাড় দিল কেন্দ্র। আজ করোনা সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রিগোষ্ঠীর বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। গুরুতর অসুস্থ করোনা রোগীদের মৃত্যুহার কমাতে এই ওষুধ ব্যবহারে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।

লাগাতার সংক্রমণ বাড়লেও, আজ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন দাবি করেন, দেশে মৃত্যুহার মাত্র ৩ শতাংশ। স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, সেটাই আরও কমাতে গ্লুকোকর্টিকয়েডস ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। অক্সিজেন সাপোর্ট বা ভেন্টিলেশনে থাকা ব্যক্তি অথবা ফুসফুসের প্রদাহ কিংবা একাধিক অঙ্গ বিকল হয়ে যাওয়া রুখতে ওই ওষুধ তিন থেকে পাঁচ দিন স্বল্প পরিমাণে ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। তবে মন্ত্রকের সতর্কবাণী, নির্দিষ্ট পরিমাণের বেশি মাত্রায় ওই ওষুধ দেওয়া হলে হিতে বিপরীত হবে। রোগীর সুস্থ হতে সময় বেশি লাগবে। করোনা আক্রান্ত অন্তঃসত্ত্বাদের ক্ষেত্রে অন্যান্য বিভাগের চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনা করে ওই ওষুধ প্রয়োগের কথা বলা হয়েছে।

মৃত্যুহার অন্যান্য দেশের তুলনায় কম হলেও সংক্রমণ কমার কোনও লক্ষণ নেই ভারতে। গত চব্বিশ ঘণ্টায় দেশে ১৮,৫২২ জন সংক্রমিত হয়েছেন। এর ফলে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫,০৮,৯৫৩। গত এক দিনে মারা গিয়েছেন ৩৮৪ জন। যার ফলে এ পর্যন্ত দেশে করোনার শিকার হলেন ১৫,৬৮৫ জন। যদিও স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনের দাবি, আক্রান্তের সংখ্যা যেমন বাড়ছে, তেমনই ৫৮ শতাংশ মানুষ সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেও গিয়েছেন। রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ হওয়ার হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ দিনে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সমীক্ষা জানিয়েছে, সংক্রমণের তালিকায় থাকা প্রথম আটটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলেই দেশের ৮৫ শতাংশ ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। মোট মৃত্যুর ৮৭ শতাংশ ঘটছে ওই আটটি রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত এলাকাতেই।

আরও পড়ুন: সংক্রমণ বেড়েছে, কমেছে সাংবাদিক বৈঠক

সংক্রমণের ক্ষেত্রে তালিকায় একেবারে উপরে উঠে এসেছে দিল্লি। অনেক বিশেষজ্ঞই মনে করছেন, দিল্লির একাধিক প্রান্তে গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়েছে। এর সত্যতা খুঁজে দেখতে আজ থেকে দিল্লির ১১টি জেলায় ২০ হাজার লোকের উপরে র‌্যানডম ভাবে করোনা পরীক্ষার কাজ আরম্ভ হল। পরিস্থিতি সামলাতে গত দু’সপ্তাহ ধরেই তৎপর রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আজ দিল্লির ছতরপুরের একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে প্রায় দশ হাজার করোনা আক্রান্তদের অস্থায়ী শিবির পরিদর্শনে যান অমিত ও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। ওই শিবিরটি দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে আধা সেনা আইটিবিপি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Health COVID-19
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE