Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

অরুণাচলে আটকে দিনহাটার পরীক্ষার্থী

দিদিমা মারা গিয়েছেন শুনে পরিবারের সঙ্গে কোচবিহারের দিনহাটা থেকে অরুণাচল প্রদেশে মামার বাড়িতে গিয়েছিল উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী রাকেশ মণ্ডল।

রাকেশ মণ্ডল

রাকেশ মণ্ডল

নিজস্ব সংবাদদাতা
দিনহাটা শেষ আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৪:১৬
Share: Save:

দিদিমা মারা গিয়েছেন শুনে পরিবারের সঙ্গে কোচবিহারের দিনহাটা থেকে অরুণাচল প্রদেশে মামার বাড়িতে গিয়েছিল উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী রাকেশ মণ্ডল। সকলেই ভেবেছিলেন, পরীক্ষার আগে ফিরবেন বাড়িতে। এরই মধ্যে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে অরুণাচল। চার দিকে গুলি-বোমায় ঘরবন্দি হয়ে পড়েছেন সকলে। এই ভাবে সাত দিন কেটে গিয়েছে। পরীক্ষার দেরি নেই। এই অবস্থায় স্কুলের শিক্ষকদের কাছে তাঁকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার আবেদন জানিয়েছেন দিনহাটার পুটিমারি হাইস্কুলের ছাত্র রাকেশ। ওই স্কুলের তরফে টুইট করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসন ও শিক্ষা দফতরকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে।

স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিব্যেন্দু ভৌমিক বলেন, “রাকেশ যাতে পরীক্ষায় বসতে পারে, তার চেষ্টা করছি।” কিন্তু ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজ্যে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু। হাতে খুব কম সময়। টেলিফোনে রাকেশ বলে, ‘‘মামার বাড়িতে বসেই পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছি। কিন্তু এ ভাবে আটকে পড়ব ভাবিনি। এ বারে পরীক্ষা দিতে না পারলে এক বছর নষ্ট হয়ে যাবে। কেউ না কেউ পাশে দাঁড়াবেন, এই আশায় আছি।’’

পারিবারিক সূত্রের খবর, রাকেশের মামার বাড়ি অরুণাচলের নাহারলগনে। ৫ ফেব্রুয়ারি সেখানেই তাঁর দিদিমার মৃত্যু হয়। ওই দিনই বাবা, মা ও দুই বোনের সঙ্গে রাকেশ সেখানে চলে যায়। প্রথম কয়েক দিন কোনও গণ্ডগোল ছিল না। গত এক সপ্তাহ ধরে গোলমাল পাকতে শুরু করে। এখন একাধিক এলাকায় কার্ফু জারি করা হয়েছে। সাত দিন ধরে নানা ভাবে দিনহাটায় ফেরার চেষ্টা করেছে রাকেশ। কিন্তু তার মা মিনতিদেবী বলেন, ‘‘কিছুতেই বেরোতে পারছি না। কী করব ভেবে পাচ্ছি না।” তবে দিনহাটার এসডিপিও মানবেন্দ্র দাস বলেন, “বিষয়টিকে খতিয়ে দেখে ঊর্ধবতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE