Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
Atma Nirbhar Bharat

লক্ষ্য আত্মনির্ভরতা, ১০১ প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা কেন্দ্রের

আগামী ৬-৭ বছর ধরে দেশীয় প্রযুক্তিতে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনের লক্ষ্যে চার লক্ষ কোটি টাকা লগ্নি করা হবে বলে রাজনাথের দাবি।

আমদানি নয় উৎপাদন, একগুচ্ছ টুইটে বার্তা রাজনাথ সিংহের। ছবি: এপি।

আমদানি নয় উৎপাদন, একগুচ্ছ টুইটে বার্তা রাজনাথ সিংহের। ছবি: এপি।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৯ অগস্ট ২০২০ ১৪:৩২
Share: Save:

‘আত্মনির্ভরতা’র পথে আরও এক ধাপ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্লোগানকে বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে এ বার কোপ পড়ল প্রতিরক্ষা আমদানিতে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ রবিবার জানিয়েছেন, দেশীয় প্রতিরক্ষা উৎপাদন ক্ষেত্রগুলিকে চাঙ্গা করার লক্ষ্যে ১০১ রকমের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। কামান থেকে জাহাজ বিধ্বংসী ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, হাল্কা যুদ্ধবিমান থেকে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল, অনেক কিছুই রয়েছে এই তালিকায়!

রাজনাথ আজ টুইট করেন, ‘‘২০২০ সাল থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হবে।’’ তিনি জানান, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে যে সমর সরঞ্জামগুলি আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে তার মধ্যে স্থলসেনা ও বায়ুসেনার জন্য প্রস্তাবিত ১ লক্ষ ৩০ হাজার কোটি টাকার উপকরণ রয়েছে। নৌসেনার উপকরণের আনুমানিক পরিমাণ ১ লক্ষ ৪০ হাজার কোটি টাকার। এ বার দেশীয় সংস্থাগুলি তা উৎপাদন করবে। চলতি বছরই ঘরোয়া প্রতিরক্ষা উৎপাদনে ব্যয় করা হবে ৫২ হাজার কোটি টাকা।

আগামী ৬-৭ বছর ধরে দেশীয় প্রযুক্তিতে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনের লক্ষ্যে চার লক্ষ কোটি টাকা লগ্নি করা হবে বলে রাজনাথের দাবি। তিনি জানিয়েছেন, সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখার জন্য ২০১৫ সালের এপ্রিল থেকে ২০২০ মধ্যে অস্ত্র ও সরঞ্জাম সরবরাহের প্রায় ২৬০টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। যার মোট অঙ্ক প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ কোটি টাকা। ভবিষ্যতে আরও কিছু অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম আমদানি বন্ধ করা হতে পারে বলেও তাঁর ইঙ্গিত। সামরিক উৎপাদনের ক্ষেত্রে নির্ধারিত সময়সীমা বজায় রাখার বিষয়টিতে গুরুত্ব দেওয়া হবে বলেও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দাবি।

স্থলসেনার জন্য পুরনো সোভিয়েত জমানার বিএমপি-২-এর বদলে ২০০টি আধুনিক আর্মার্ড ফাইটিং ভেহিকল আনার লক্ষ্যে প্রায় ৫,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। কিন্তু রাজনাথ জানিয়েছেন, ২০২১-এর ডিসেম্বরের পর থেকে আর আর্মার্ড ফাইটিং ভেহিকল আমদানি করা হবে না। পরিবর্তে দেশেই উৎপাদন করা হবে। নৌসেনার জন্য ৪২ হাজার কোটি টাকায় ছ’টি সাবমেরিন আমদানির উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি হবে ওই সময়সীমা থেকেই।

আরও পড়ুন: সংক্রমণ কমার লক্ষণ নেই, দেশে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ৬৪,৩৯৯

নৌবাহিনীর রাডার, সোনার (সাবমেরিন সন্ধানী যন্ত্র) ও ভূমিতে আঘাত হানতে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র এবং বিমানবাহিনীর হাল্কা পরিবহণ বিমান ও হাল্কা হেলিকপ্টার, প্রশিক্ষণবিমান ও চালকহীন বিমান রয়েছে নিষেধাজ্ঞার তালিকায়। রয়েছে, স্থলসেনার মাল্টি ব্যারেল রকেট লঞ্চার, স্নাইপার রাইফেল, বুলেটপ্রুফ জ্যাকেটও।

আরও পড়ুন: পিএম কিষাণ প্রকল্পে সাড়ে ৮ কোটি কৃষকের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী​

রাজনাথ সিংহ আজ টুইটারে লিখেছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পাঁচটি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে আত্মনির্ভর ভারত গড়ার আহ্বান জানিয়েছেন— অর্থনীতি, পরিকাঠামো, ব্যবস্থাপনা, জনতত্ত্ব এবং চাহিদা। বিশেষ আর্থিক প্যাকেজেরও ঘোষণা করেছেন।’’ তাঁর দাবি, প্রতিরক্ষা উৎপাদনের ক্ষেত্রে এই পদক্ষেপ কার্যকর হলে দেশে আর্থিক ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নের জোয়ার আসবে। ডিআরডিও’র মতো রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উৎপাদন সংস্থার পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থাও প্রতিরক্ষা উৎপাদনে অংশগ্রহণ করতে পারবে বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রিত্বের প্রথম পর্যায়েই ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ স্লোগান দিয়েছিলেন মোদী। প্রতিরক্ষা উৎপদান ক্ষেত্রে এ বার তার বাস্তবায়ন শুরু হল বলে দাবি শাসক শিবিরের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE