উজানি অসমের চা বাগানে জাল নোট ছড়িয়ে দেওয়ার চক্রান্ত করেছে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। এমনই আশঙ্কা করছে রাজ্য পুলিশ।
১ মে গুয়াহাটির আজারায় জাল নোট পাচারের অভিযোগে এক মহিলা-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করেছিল শুল্ক দফতর ও পুলিশ। তাদের জেরা করে এই তথ্য সামনে এসেছে। শুল্ক দফতর সূত্রে খবর, তিনসুকিয়ার বাসিন্দা মনোজ যাদব ও কল্পনা দুয়রা জাল নোট নিয়ে গোয়ালপাড়া থেকে গুয়াহাটি যাচ্ছে বলে খবর মিলেছিল। শুল্ক দফতর ও পুলিশ ওৎ পাতে। গুয়াহাটির আজারা এলাকা থেকে দু’জনকে ধরা হয়। তাদের ব্যাগে মেলে ৫০ হাজার টাকার জাল নোট। শুল্ক দফতরের এক কর্তা জানান, সেগুলি যথেষ্ট আধুনিক যন্ত্রে ছাপা। শুধুমাত্র পাকিস্তানে এ ধরনের নোট ছাপা হয়। দু’জনকে জেরা করে জানা গিয়েছে, নোটগুলি পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ হয়ে ভারতে পাঠানো হয়। তাদের বলা হয়েছিল, নোটগুলি উজানি অসমের চা শ্রমিকদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে।
পুলিশ ও শুল্ক দফতরের কর্তারা জানান, দু’বছর ধরে এ রকম জাল নোট ভারতে ছড়িয়ে দিচ্ছে আইএসআই। বিশেষ করে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে নোটগুলি ভারতে ঢোকানো হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে এনআইএ তদন্ত চালিয়েছে। নোটগুলির ফরেন্সিক পরীক্ষায় জানা গিয়েছে, ভারতে যে কাগজে সরকারি নোট ছাপা হয়, সেই একই কাগজে জাল নোটগুলি ছাপানো হচ্ছে। দুটি কাগজের ‘জিএসএম’ (কাগজের ঘনত্ব মাপা হয়— গ্রাম পার স্কোয়ার মিটারের হিসেবে), আকার, ‘ওয়্যাক্স পিক কোসেন্ট’, পলিভিনাইল অ্যালকোহল ও পিএইচ ভ্যালু প্রায় সমান। সে সব পাকিস্তানের সরকারি হিসেবের সঙ্গে মেলে। যে ধরণের মুদ্রণযন্ত্রে নোটগুলি ছাপা হয়েছে, সে সব যন্ত্র কোনও দেশের সরকারের সাহায্য ছাড়া কেনা সম্ভব নয়।
শুল্ক দফতরের কর্তাদের অভিযোগ, পাকিস্তান সরকারের প্রত্যক্ষ মদত ছাড়া আইএসআই এ ধরনের জাল নোট তৈরি করতে পারত না। শুল্ক বিভাগ গত মার্চ মাসেও ধুবুরি সীমান্তের মানকাচর থেকে ৫ লক্ষ টাকার জাল নোট উদ্ধার করেছিল। দু’মাসে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৯ লক্ষ টাকার জাল নোট। জেরায় ধৃত কল্পনা জানিয়েছে, সে আগেও মেঘালয় ও অসম সীমান্ত থেকে জাল নোট নিয়ে উজানি অসমে পৌঁছে দিয়েছে। ধৃতদের জেরা করে জানা গিয়েছে, যেহেতু চা বাগানে দৈনিক মজুরি চালু রয়েছে এবং চা শ্রমিকরা সহজে জাল নোট চিনতে পারেন না, তাই বাগান এলাকাতেই এই নোট ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। পুলিশ ও শুল্ক দফতর এ নিয়ে বাগান কর্তৃপক্ষ ও ব্যাঙ্কগুলিকে সতর্ক করেছে। পাশাপাশি, গুয়াহাটি-সহ রাজ্যের যে সব পাইকারি আড়তে প্রতি দিন প্রচুর পরিমাণে নগদ টাকা হাতবদল হয়, সে সব জায়গাতেও সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।
ধৃত ৩ জঙ্গি। অস্ত্র-সহ ধরা পড়ল তিন জঙ্গি। পুলিশ জানায়, কোকরাঝাড় জেলার গোঁসাইগাঁও থেকে আজ মুসলিম টাইগার ফোর্সের সদস্য সাদ্দাম খাম, আবদুল্লা শেখ, নূর ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে দু’টি রাইফেল, গুলি, মোবাইল ও তোলা আদায়ের হুমকি চিঠি উদ্ধার করা হয়েছে। অন্য দিকে, গত বছর বড়োভূমির হত্যাকাণ্ডে জড়িত এনডিএফবি জঙ্গি সুরজিত বরগয়ারিকে বেঙ্গালুরুর কোচিকোট্টি থেকে গ্রেফতার করেছে অসম পুলিশ। তাকে এ দিন আদালতে তোলা হলে পুলিশ হাজতে পাঠানো হয়।
সোনার টাকা উদ্ধার। মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করা হল সোনার কলসি, টাকা। শোণিতপুর জেলার ঘটনা। পুলিশ সূত্রে খবর, গত কাল ঢেকিয়াজুলির বরসলা সেঙেলিমারি এলাকার একটি জমিতে মাটি কাটার কাজ চলছিল। তখনই মাটির তলায় একটি কলসি মেলে। শ্রমিকদের কাছে খবর পেয়ে গ্রামবাসীরা সেখানে গিয়ে মুদ্রা সংগ্রহ করতে থাকেন। পরে পুলিশ এসে এলাকাটি ঘিরে ফেলে। প্রত্নত্বত্ত্ব দফতরকে খবর দেওয়া হয়। অনুমান, মুদ্রাগুলি ১৮৪০ থেকে ১৮৫০ সালের মধ্যবর্তী সময়ের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy