বাইশ বছরের কর্মজীবনে ৪৬তম বদলির নোটিস হাতে পাওয়ার পরে আইএএস অফিসার অশোক খেমকা আজ মুখ খুললেন টুইটারে। লিখেছেন, ‘‘অনেকের অনেক কায়েমি স্বার্থ ও বাধা-বিপত্তি এড়িয়ে চেষ্টা করেছিলাম দুর্নীতি রুখতে। ...বেদনাদায়ক পরিস্থিতি।’’
সনিয়া গাঁধীর জামাই রবার্ট বঢরার সঙ্গে ডিএলএফ সংস্থার জমি চুক্তিতে অনিয়মের অভিযোগ তুলে ২০১২ সালে সংবাদ শিরোনামে আসেন খেমকা। তখন খুনের হুমকিও পেয়েছিলেন বলে শোনা গিয়েছিল। কিছু দিনের মধ্যেই ভূমি দফতরের গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে সরে যেতে হয় তাঁকে। পরিবহণ দফতরের কমিশনার ও সচিব পদে বহাল হন গত বছর নভেম্বরেই। ক্ষমতায় এসেই তিনি পণ্যবাহী ট্রাকগুলির গুণমান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। যে সব ভাঙাচোরা ট্রাকে বোঝাই করে জিনিস নিয়ে যাওয়া হতো, সেগুলির শংসাপত্র খারিজ করে দেন তিনি। জবাবে জানান, এ সবের জন্যই দিন দিন রাস্তাঘাটে দুর্ঘটনা বাড়ছে।
খেমকার এ বারের বদলিতে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে, এটিই কি বদলির কারণ?
হরিয়ানা সরকার অবশ্য বিষয়টিকে ‘রুটিন বদলি’ বলেই দেখাচ্ছে। খেমকাকে ‘সৎ’ অফিসার বলে মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খাট্টার নিজে জানান, গোটাটাই প্রশাসনিক ব্যাপার। এর পিছনে অন্য কোনও কারণ নেই। উল্টে আরও এক ধাপ এগিয়ে পরিবহণ মন্ত্রী রামবিলাস শর্মা বলেন, ‘‘বদলি তো আর কোনও শাস্তি নয়!’’ যদিও খেমকার পাশে দাঁড়িয়ে হরিয়ানার সরকারেরই স্বাস্থ্যমন্ত্রী অনিল ভিজ বলেন, ‘‘আগে কংগ্রেস জমানায় দুর্নীতি রুখতে অনেক ভাল কাজ করেছিলেন উনি। বিষয়টি নিয়ে আমি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব।’’
আজ বিজেপির তরফে বলা হয়েছে, খেমকার বদলির পিছনে কোনও খারাপ উদ্দেশ্য নেই হরিয়ানা সরকারের। ভাল পদেই বদলি করা হয়েছে ওঁকে। বিজেপির মুখপাত্র শাহনওয়াজ হুসেন বলেন, ‘‘চাকরি তো চাকরিই। আপনি বলতে পারেন না, এই পদটা বড়, ওই পদটা ছোট। পুরাতত্ত্ব মন্ত্রকও বেশ বড় মন্ত্রক। অনেক দায়িত্ব আছে...।’’ সংবাদ মাধ্যমে খেমকার মন্তব্য করাকে বাড়াবাড়িও বলছেন বিজেপির অনেকে। যদিও কংগ্রেস জমানায় সনিয়ার জামাই রবার্ট বঢ়রার জমি-দুর্নীতি নিয়ে যখন মুখ খুলেছেন খেমকা, তখন এই আইএএস অফিসারেরই প্রশংসা করেছিল বিজেপি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy